কোন পথে আরসা?

যাকারি আবুজা, মন্তব্য প্রতিবেদন
2017.10.16
নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে প্রবেশের পর রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে প্রবেশের পর রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৮ অক্টোবর ২০১৭।
এএফপি

মানবতার স্বার্থে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মাসব্যাপী একতরফা অস্ত্রবিরতি শেষ হলো ৯ অক্টোবর মধ্যরাতে। সামরিক হিসাবে মানবতার স্বার্থে এই যুদ্ধবিরতি খুব ব্যাপক কোনো অর্থ বহন করে না এবং অস্ত্রবিরতির এক সপ্তাহ পরও নতুন কোনো হামলার দায় স্বীকার করেনি আরসা।

তবে অস্ত্রবিরতির বিষয়টা জনসংযোগের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি জরুরি পদক্ষেপ ছিল বলে প্রমাণিত। আরসার হাতের অস্ত্রগুলো একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের। কিন্তু এদের গণমুখী কূটনৈতিক চাল এবং তথ্য ও যোগাযোগ কার্যক্রম মিয়ানমারের কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারের প্রচারিত বার্তার চেয়ে অনেক বেশি চৌকশ ও সুচারু।

অস্ত্রবিরতির ফাঁকে গোটা বিশ্বের কাছে মানব বিপর্যয়ের ছবিটি পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। কয়েকটি দেশের সরকার দায়সারা বিবৃতির চেয়েও কঠোর বার্তা দিয়েছে। এ দফায় সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আগে থেকেই বাংলাদেশে আরও চার লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে, যারা ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী ২৮৮ টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে ৩ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, পরিকল্পিতভাবে সাধারণ নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ পরিস্থিতিকে জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলেও মন্তব্য করেছে।

বহু মানুষ দুই দেশের মধ্যবর্তী নদী পার হয়ে আসার পথে ডুবে মারা গেছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শরণার্থী সমস্যার ব্যাপকতা দেখে দিশেহারা। প্রায় ১০ লাখ মানুষ এঁদো শরণার্থী শিবিরে গাদাগাদি করে আশ্রয় নিয়েছে। এই শিবিরগুলোয় খাবার, ওষুধ, আশ্রয় ও নিরাপত্তার মারাত্মক অভাব। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বর্ষার অবিরাম বর্ষণ।

মানব বিপর্যয়ের এই ব্যাপকতায় আরসাও হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে হয়।

সব ছোটখাটো চরমপন্থী দলেরই লক্ষ্য থাকে সরকারের তরফ থেকে কঠোর পাল্টা আক্রমণ। কারণ এ ধরনের আক্রমণ সাধারণ মানুষের ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কাড়ে। এটা হিসাবনিকাশ করে করা একটা মানব বিধ্বংসী কৌশল।

কিন্তু আরসারও কেউ বোধ হয় আশা করেনি যে তাতমাদাও বা মিয়ানমার সেনাবাহিনী এতটা বর্বর হয়ে উঠে ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান চালিয়ে যাবে এবং পশ্চিমা বিশ্বে মানবাধিকারের মূর্ত প্রতীক অং সান সু চি সক্রিয়ভাবে এই কাজে সমর্থন দিয়ে যাবেন।

আরসার লিখিত ও ভিডিও বার্তা ২৫ আগস্টের পর প্রচার হয়। ওই সময় ঘটে যাওয়া ঘটনার দায় আরসার ওপর বর্তায় এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে দশে ছাড়তে হয়। আরসা লিখিত ও ভিডিও বার্তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ধন্যবাদ জানিয়েছে ও মানব বিপর্যয়ের বিষয়টি তুলে এনেছে।

একইভাবে ৭ অক্টোবর আরসা একতরফাভাবে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দেয়। তবে তাদের শর্ত ছিল এর বিনিময়ে সরকার মানবতাবাদী সংগঠনগুলোকে রাখাইনের উত্তর অংশে বাধাহীনভাবে প্রবেশে অনুমতি দেবে ও সহায়তা করবে। সরকারি মুখপাত্র ও তাতমাদাও নেতারা তাৎক্ষণিক এই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। তারা বলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়।

আরসার সামরিক দক্ষতার তুলনায় তাদের প্রচার কার্যক্রম অনেক গুণ বেশি ভালো। সংবাদপত্রে পাঠানো তাদের বিবৃতি, ভিডিও বার্তা এবং বাংলা, বর্মী, আরবি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত অন-লাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমগুলো সরকারি বাহিনীগুলোর মর্মান্তিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছে।

কিন্তু সব কিছুর পরে আরসা একটি স্বঘোষিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীটি তাদের আওতাভুক্ত এলাকার মানুষের অধিকার ও আগ্রহ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনেক রোহিঙ্গা তাদের এই কৌশলের বিরোধী। তারা খুবই যৌক্তিকভাবে বিশ্বাস করে যে যেকোনো ধরনের সহিংসতা সরকারকে প্রাণঘাতী অভিযানে উৎসাহ দেবে এবং রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যেহেতু এখন তারা নির্বাসনে এবং আর কিছু হারানোর নেই, তখন সহিংসতাই তাদের জন্য অর্থপূর্ণ সমাধান।

যদিও মিয়ানমার সরকার কিছু বিবৃতি দিয়েছে কিন্তু কেউ সেই বিবৃতি বিশ্বাস করতে চাইছে না, এবং এটাও বিশ্বাস করছে না যে তারা রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে স্বাগত জানাবে।

তাতমাদাও ও বর্মি আধা সামরিকবাহিনী শুধু রাখাইনের উত্তরে মোতায়েন রয়েছে তা-ই নয়। তারা শুধু ২৮৮ টি গ্রাম পুড়িয়ে ও অর্ধেকের বেশি রোহিঙ্গাকে দেশছাড়া করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং বাকি রোহিঙ্গারা যে লুকিয়ে থাকবে এমন জায়গাও তারা রাখেনি। ওখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের আরসাকে ঘৃণা করা খুবই স্বাভাবিক, কেননা তাঁরা ভাবছে, আরসার কারণে তাতমাদাও ও প্যারামিলিটারির লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন তারা।

রাখাইনে যাতায়াত ও ঘাঁটি তৈরির ক্ষেত্রে তাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। আরসার হাতে সমরাস্ত্র নেই বললেই চলে। তারা সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা করেছে কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট। ওই ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।

মানবিকতার সব রীতি নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাতমাদাও সীমান্তের বেড়া দেওয়া অংশ বরাবর স্থলমাইন পুঁতেছে, যেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রবেশ আরও কঠিন হয়।

সামরিক ক্ষেত্রে আরসা কী করতে পারে?

এক্ষেত্রে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়র ছোটখাটো বিদ্রোহী দলগুলো থেকে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। প্রথমত, তারা শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে লোক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করতে পারে, যেহেতু সেখানে এমন মানুষের অভাব নেই যাদের আর হারানোর কিছু নেই। তারা বরং বিদ্রোহী দলে গিয়ে কিছু সুবিধা ও সুরক্ষা পেতে পারে।

এর পরের পর্যায়ে তারা ছোটখাটো ইউনিট গঠন করতে পারে ও প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে পারে। তবে তা নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের ওপর, কারণ এইক্ষেত্রে সব ধরনের প্রশিক্ষণেই বাংলাদেশ সরকার থেকে বাধা আসবে। কিন্তু আরসাকে কিছুটা প্রশ্রয় দিলে অন্তত তাতে কিছু রোহিঙ্গার মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। অল্প কয়েকটি বিকল্পের মধ্যে এটিও বাংলাদেশের জন্য একটা বিকল্প।

রাখাইনে যে অল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা আছে তারা আরসার জন্য সহায়ক হবে। তারা পাল্টা হামলার ভয় কম পাবে এবং হামলার ঘটনা তাদের আরও সাহসী করে তুলবে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হতে পারে। ওই হামলার ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর জন্য যে ধরনের অস্ত্র প্রয়োজন, তার দরকার পড়বে না।

দক্ষিণ থাইল্যান্ডে মালয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করার জন্য সাধারণ মানুষের গলা কাটে ও মৃতদেহ বিকৃত করে ফেলে। অস্ত্রশস্ত্রের সংকট থাকায়, থাই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আইইডি ব্যবহার করছে। ২০০৪ সালের পর থেকে ৩ হাজারের বেশি আইইডির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে এবং শত শত আইইডি হয় বিস্ফোরিত হয়নি বা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। ২০০৯ সালের পর প্রতি মাসে অন্তত ১৪টি আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।

আইইডি বানাতে যে প্রযুক্তি লাগে তা সহজলভ্য ও সস্তা। এটি বানানোর উপকরণ (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট অথবা অন্যান্য সার, জ্বালানি, অগ্নি নির্বাপণ বা রান্নার জন্য ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার) খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায়।

বছরের পর বছর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা চালানোর পর মালয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখন অনেক কম হামলা চালাচ্ছে। সুনির্দিষ্টভাবে তাদের লক্ষ্য এখন নিরাপত্তা বাহিনী। ২০০৭ সালের পর মৃতের সংখ্যা দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে অনেক কমে গেছে, কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পরাজিত হয়েছে এমন কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।

বরং এই বিচ্ছিন্নতাবাদ থাই সম্পদ ধ্বংস করছে। আর তারা যদি পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে তবে পরিস্থিতি আরোও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

ফ্রি পাপুয়া মুভমেন্ট

ইন্দোনেশিয়ার একেবারে উত্তরের প্রদেশে ফ্রি পাপুয়া মুভমেন্ট (ওপিএম) মধ্য ষাটের দশক থেকে সরকারের ভেতর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে আসছে। যদিও তাদের স্বাধীনতার কামনা নিছকই কল্পনাপ্রসূত, তবু ওপিএমকে কখনই হারানো যায়নি এবং সম্পদের দিক থেকে শীর্ষে থাকা প্রদেশটির জন্য এরা সব সময়ের মাথাব্যথার কারণ হয়ে আছে।

এ পর্যন্ত চার হাজারের বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য খুন হবার কথা জানা গেছে, এবং সেখানে ৪৫ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে এই খবরগুলো খুব একটা প্রকাশিত হয়নি। ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য পশ্চিম পাপুয়া বরাবরই একটা বিষফোঁড়ার মতো হয়ে আছে। ইন্দোনেশিয়ায় সুসংহত গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটা একটা বিরাট প্রতিবন্ধকতাও।

বাইরের সমর্থন প্রসঙ্গ

১১ সেপ্টেম্বর আল কায়েদা এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে যুদ্ধে নামাকে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা বলে বিবৃতি দেয়।

এই আহ্বানকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে আল কায়েদার প্রতিযোগিতা বলে ধরে নেওয়া যায়, যেহেতু তাদের খিলাফত প্রকল্পের অবসান ঘটেছে। তবে এতে এটা পরিষ্কার যে এই অঞ্চল বহির্বিশ্বকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভালো প্রযুক্তির জ্ঞান নেই এমন এমন ব্যক্তিরাও ছিল। তারা সবাই রোহিঙ্গাদের পক্ষে যুদ্ধে যোগ দিতে যাচ্ছিল।

এখন পর্যন্ত আরসা একটি নৃতাত্ত্বিক-জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়। তারা শুধু তাদের জনগণের আইনগত অধিকার ফিরে পেতে ও সুরক্ষা পেতে চাইছে। মতাদর্শগত পার্থক্যের বাইরেও আরসার আন্তর্জাতিক জিহাদি গোষ্ঠীগুলো থেকে দূরে থাকার হাজারটা যুক্তি আছে। কারণ তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ সরকার তাদের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য হবে।

তারপরও এমন অপ্রীতিকর অবস্থার মধ্যে আরসার কাছে যেই সাহায্য নিয়ে আসবে তাদের সেই সাহায্যই হাসিমুখে গ্রহণ করতে হবে।

মিয়ানমারের দূতাবাস বা প্রবাসী বার্মিজদের ওপর আরসা কোনো আক্রমণ চালায়নি। এদিকে প্রতি নিয়তই আল কায়েদা ও আইএস পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গাদের পক্ষে কাজ করতে চায়। যারা শুধু ইন্দোনেশিয়ায় ২০১৪ সালের পর দুবার মিয়ানমার দূতাবাস উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

আরসা হয়ত কখনই মিয়ানমার সরকারের ওপর হুমকি তৈরি করতে পারবে না, কিন্তু খুব সহজে দলটির অস্তিত্ব মুছে ফেলাও যাবে না। এর তথ্য ও যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচার প্রমাণ করে যে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক মুনশিয়ানা আছে। এবং এক্ষেত্রে যারা রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয় দেখে সহজ সমাধানের পথ খুঁজছিলেন তাঁদের জন্য মূলত কোনো সুসংবাদ নেই।

দক্ষিণ থাইল্যান্ড, পশ্চিম পাপুয়া, মিন্দানাও ও ছোটাখাট অন্য বিদ্রোহী দলগুলোর তৎপরতা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, অল্প মাত্রায় হলেও এই সংকট চলতেই থাকবে দশকের পর দশক। সুশাসনকে দুর্বল করে দিয়ে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে এটি জনমনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

যাকারি আবুজা ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ওয়ার কলেজের অধ্যাপক এবং “Forging Peace in Southeast Asia: Insurgencies, Peace Processes, and Reconciliation.” গ্রন্থের লেখক। এই নিবন্ধের মতামত লেখকের নিজস্ব এবং কোনোভাবেই তা ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স, দ্য ন্যাশনাল ওয়ার কলেজ বা বেনারনিউজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন নয়

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।