বিএনপির নিখোঁজ নেতা সালাহ উদ্দিনকে হাজিরের শুনানি ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
2015.03.16
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে হাজির করার বিষয়ে দেওয়া রুলের ওপর শুনানি ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৬ মার্চ) এই শুনানি মুলতবি করেন। খবর ঢাকার গণমাধ্যম।
আজ সালাহ উদ্দিন আহমেদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদের শুনানি করার কথা ছিল। তিনি শুনানির জন্য দীর্ঘ সময় প্রয়োজন বলে জানালে আদালত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমদের দাবি, ‘ডিবি’ পরিচয়দানকারী একদল অস্ত্রধারী গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর স্বামীকে উত্তরা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। উত্তরার ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীও সালাহ উদ্দিনকে ধরে নেওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে গত বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং ১৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে কেন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ওই দিনই রুল দেন হাইকোর্ট।
গত সোমবার ওই রুলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হাইকোর্টকে দেওয়া প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যাব, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বিশেষ শাখা (এসবি) পাঁচটি আলাদা প্রতিবেদনে দাবি করে, সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ জানে না পুলিশ। তারা সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি। তবে তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। পরে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সালাহ উদ্দিন আহমেদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মওদুদ আহমদের শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে খুঁজে না পাওয়া রাজনীতির জন্য অশুভ লক্ষণ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, রাজনীতি হবে প্রকাশ্যে। জনগণের জন্য জনগণকে নিয়েই হবে রাজনীতি। অন্তরালের রাজনীতি না হওয়াই ভালো। অন্তরালের রাজনীতি অন্তর্ধানে পরিণত হয়েছে। এটা অন্তর্ঘাতে পরিণত হওয়াটা হবে আরও বেশি দুঃখজনক। এ ধরনের নাটকীয়তা রাজনীতির জন্য অশুভ লক্ষণ। তিনি বলেন, ‘আশা করি আমরা সালাহ উদ্দিন আহমদ সম্পর্কে একটা ভালো খবর পাব। সর্বমহলের সর্বপ্রচেষ্টায় সালাহ উদ্দিনকে খুঁজতে হবে।’