সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরে আর বাঁধা থাকলো না

ঢাকা থেকে শাহরিয়ার শরীফ
2015.11.18
BD-warcrimes চূড়ান্ত রায়ের পর কেন্দ্রীয় কারাগার সহ রাজধানী জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বর,২০১৫
বেনার নিউজ

মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির সাজা পাওয়া দুই শীর্ষ ঘাতকের রক্ষা পাওয়ার আইনি সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে গতকাল বুধবার, যাদের এখন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়াটাই শুধু বাকি আছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সব প্রস্তুতি নিয়ে কিছু আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছে।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার পৃথক আবেদন বুধবার খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলমসহ সরকারের নীতি নির্ধারকদের বক্তব্য থেকে আভাস পাওয়া গেছে, সহসাই ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। তবে সরকারিভাবে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।

“আইন মেনে দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর করতে কয়েকদিন সময় লাগবে,” বেনারকে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

“এর আগে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ে আদালত বলেছিলেন, এ ধরণের দণ্ড কার্যকর করতে জেল কোড মানার দরকার নেই, যেখানে প্রাণভিক্ষার জন্য সাত থেকে একুশ দিন সময়ের কথা বলা হয়েছে। ওই আদেশে বলা হয়, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে,” বেনারকে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে আইনজ্ঞরা বলছেন, সরকার চাইলে দুএকদিনের মধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব।  


প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ রিভিউয়ের আদেন খারিজ করে পৃথক এ দুটি আদেশ দেন। এই বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।


নিরাপত্তা জোরদার

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী এই দুই অপরাধীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার শুনানিকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকে রাজধানীতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কারাগারগুলো বিশেষ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

পুলিশের সূত্র বলেছে, রায়ের বিরোধিতাকারী চক্রটি নাশকতা চালাতে পারে বলে তথ্য রয়েছে। এ জন্যই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বাড়িতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

“রাজধানীতে অতিরিক্ত সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও মাঠে আছেন,” জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম।


সাকা চৌধুরী প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন!

সাকা প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন বলে অনেকে ধারনা করছেন। তবে তার পক্ষ থেকে এখনো সিদ্ধান্ত জানা যায় নি। এর আগে জামায়াতের আগের দুই নেতা প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি। মুজাহিদও করবেন না বলে ধারণা।

১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন সাকা চৌধুরী।

আপিলের রায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে। আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। এর ১৪ দিনের মাথায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন সাকা চৌধুরী।

২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার আদালত ওই আবেদন শুনানির জন্য ২ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছিলেন। পরে সাকা চৌধুরীর আইনজীবীর সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির তারিখ ১৭ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ, যা একদিন বাড়ানো হয়।


সাকা চৌধুরীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনে সাকা চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য তিনি করাচি চলে যান। ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকায় ফেরেন। এর মধ্যে তিনি কখনো বাংলাদেশে আসেননি।

তবে আদালত এই বক্তব্য আমলে নেয়নি।  অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মতে, ফৌজদারি মামলায় এমনিতেই রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ খুব কম। সাধারণত আদালতের কোনো ভুল থাকলে পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকে। তা ছাড়া তিনি (সাকা চৌধুরী) এ আবেদন করেছেন নির্ধারিত সময়ের পর।


সাকাকে নিয়ে চুপ বিএনপি

সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় নিয়ে তাঁর দল বিএনপি গতকাল পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।  

মুজাহিদের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার সারাদেশে হরতাল ঘোষণা করেছে জামায়াত। কিন্তু এখন পর্যন্ত চুপচাপ আছে বিএনপি।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের বিষয়টি নিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা গতকাল নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপ-আলোচনা করেছেন।

সাকা চৌধুরী এখন পর্যন্ত বিএনপির পদধারী একমাত্র নেতা, যার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজা হলো।


মুজাহিদ প্রাণভিক্ষা চাইবেন না

মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সে সময়কার আলবদর বাহিনীর নেতা মুজাহিদকে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মুজাহিদ, যিনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন।

চলতি বছরের ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে মুজাহিদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মুজাহিদ।

এটা খারিজ হওয়ার পর মুজাহিদ প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জানা গেছে। এর আগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া দুই নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাননি।


মুজাহিদের দম্ভের পতন হলো

“মুজাহিদের রায়ের মধ্য দিয়ে শহীদ পরিবারগুলোর ৪৪ বছরের রক্তক্ষরণ কিছুটা হলেও প্রশমিত হলো। এই রায়ের মধ্য দিয়ে তাঁর দম্ভের চূড়ান্ত পতন হলো,” বেনারকে জানান লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবীর, যিনি মুজাহিদের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী ছিলেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ১১ দিন জেরা করেছিল।

শাহরিয়ার কবির বলেন, “মুজাহিদ বলেছিলেন, ‘এ দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই, বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধ হয়নি। তিনিই এখন যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলতে যাচ্ছেন।”

চূড়ান্ত ফাঁসির রায়ের এই দিনে শাহরিয়ার কবীর স্মরণ করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ও কবি সুফিয়া কামালের কথা। তিনি বলেন, জাহানারা ইমাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন। তাঁর কষ্ট আজ সফল হতে চলেছে।

এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে যে গণতদন্ত কমিটি ছিল সেখানেও সাকা ও মুজাহিদের নাম ছিল।


জামায়াতের হরতাল, প্রতিক্রিয়া

জামায়াতে ইসলামী বলেছে, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ সরকারি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। ‘মিথ্যা’ মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে  বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াত।

দলের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে সারা দেশে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেন, জনগণসহ বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট যে বিনা অপরাধে এবং আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও শুধু রাজনৈতিক কারণে মুজাহিদকে সরকারি পরিকল্পনায় হত্যার উদ্দেশে এ দণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডের রায়ে হতাশা প্রকাশ করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মুজাহিদকে সরকারি ষড়যন্ত্রে হত্যা করা সম্ভব হলেও তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ হত্যা করা সম্ভব নয়।’


নিরাপত্তা জোরদার

সাকা চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি এবং তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অধিকাংশ সাক্ষীর বাড়ি রাউজান উপজেলায়। এ জন্য তাঁর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানির দিন থাকায় রাউজানে ও সাক্ষীদের বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশের সূত্র বলেছে, রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহের বাড়ি, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সাক্ষীদের বাড়িতে সোমবার রাত থেকে পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে। পুলিশের টহলও রয়েছে।

“নিয়মিত ৫০ সদস্যের সঙ্গে আরও ১০০ পুলিশ সদস্য যোগ হয়েছেন। সোমবার রাত থেকে বিভিন্ন সাক্ষীর বাড়িতে পাহারা ও টহল জোরদার করা হয়েছে,” সাংবাদিকদের জানান রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।


রায়ে সন্তোষ প্রকাশ, আনন্দ মিছিল

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, “এই রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।”

গতকাল শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচিতে ইমরান এসব কথা বলেন।


এদিকে দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন। এসব মিছিল থেকে দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি তোলা হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর গতকাল বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আনন্দ মিছিল করে সরকারি দল আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ আনন্দ মিছিল করেছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। এটি নেতৃত্ব দেন। সংগঠনের আহ্বায়ক ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সেখানকার ছাত্রলীগ।

এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি—সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, “এই দুজন মানবতার বিরুদ্ধে যে জঘন্য অপরাধ করেছিলেন, তাতে তাদের মৃত্যুদণ্ডই স্বাভাবিক বিচার।”

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আরেক বিবৃতিতে বলেন, “এই রায় জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। এর ফলে ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে দেশের মানুষের আস্থা বাড়বে।”

ইন্টারনেট বন্ধ ছিলো দেড় ঘন্টা

সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজের পর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রায় দেড় ঘণ্টা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকল বাংলাদেশ, যে কড়াকড়ির ইঙ্গিত গত সপ্তাহেই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বেলা সোয়া ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কেউ কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেননি। এরপর ইন্টারনেট সংযোগ ফিরতে শুরু করলেও সামাজিক যোগাযোগের কিছু ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ রয়েছে এখনও।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।