ঝাড়খন্ডে মাওবাদীদের উপর পুলিশের আক্রমন, অনেক হতাহত
2015.06.09
মঙ্গলবার ভোরে ঝাড়খন্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকের গুলিতে ডজন খানেক বিদ্রোহী মাওবাদী নিহত হয়, যা তাদের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনে।
সম্মিলিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে, পালামু জেলার বাকোরিয়া গ্রামে গোলাগুলির মুখে আরেক দল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়,জানায় কর্তৃপক্ষ।
ঝাড়খন্ড পুলিশের এডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধান বেনারকে ফোনে জানান, “ অন্ধকারের মধ্যে গাড়িতে করে একদল বিদ্রোহী পালিয়ে যাবার সুযোগ পায়। নিহত বিদ্রোহীদের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। কয়েক বছর পর দুই সংখ্যায় হতাহত বিদ্রোহীদের জন্য বড় আঘাত”।
রাজ্যের রাজধানী রাঞ্চি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে এই আক্রমন অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত এপ্রিলে বিদ্রোহীরা দুমকা জেলায় অতর্কিতে হামলায় ৬ জন পুলিশকে গুলি করে মারে।
প্রধান আরো জানান, “ বিদ্রোহীরা পালামু জেলা সহ ৫/৬ টি জায়গায় তারা সংহত অবস্থান নিয়ে আছে, সেখানে চিহ্নিত করার পর তাদেরকে নাগালের মধ্যে আনা সম্ভব হয়েছে”।
গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে যৌথভাবে কমব্যাট ব্যাটেলিয়ন (কবরা) ও রাজ্য পুলিশ মধ্যরাত জুড়ে এই অভিযান চালায়।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ২ টি গাড়িতে তারা যাচ্ছিলো, তার একটি থেকে গুলি বর্ষনের জবাবও দেয়। ২ ঘন্টা ধরে এই গোলাগুলি চলে। অকুস্থল থেকে ২০০ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু এই সাফল্য সত্তেও সংশয় রয়ে গেছে দীর্ঘ মেয়াদে এর কোনো প্রভাব মিলবে কিনা।
ঝাড়খন্ড কংগ্রেসের সেক্রেটারি শাকিল আহমেদ বেনারকে জানান, “প্রায় ৩ দশক ধরে এই অঞ্চলে মাওদের কর্মকান্ড চলছে, কিন্তু একদিনের ঘটনায় তাদের বিদ্রোহ দমন হবে না।এই দীর্ঘ মেয়াদের সমস্যা দূর করতে হলে সরকারকে পরিবেশ তৈরি করতে হবে তাদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ সংলাপের জন্য। আদিবাসীদের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে হলে এই এলাকায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে”।