বাগেরহাটে পুলিশের অভিযানে জেএমবির ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

ঢাকা থেকে শাহরিয়ার শরীফ
2016.10.25
161025-JMB-Militants1000.jpg বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ও হাতবোমাসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করে। অক্টোবর ২৫, ২০১৬।
নিউজরুম ফটো

দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার খলিসাখালী গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ও হাতবোমাসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হলে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। গত সোমবার গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কচুয়া থানা-পুলিশের একটি যৌথ দল ওই গ্রামের সাফায়েত শেখের বাগানবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, কচুয়া উপজেলার রাঢ়িপাড়া ইউনিয়নের কাকারবিল গ্রামের বেদার উদ্দিন মোল্লার ছেলে আকাশ মোল্লা ওরফে বাবু (১৯), পিরোজপুর সদর উপজেলার মাছিমপুর দক্ষিণ শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল হাই শেখের ছেলে হাবিবুল্লাহ শেখ (১৯), নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর খেজুরতলা গ্রামের লোকমান ফরাজীর ছেলে কবীরুল ফরাজী (২৬) ও মঠবাড়িয়া উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মো. আলম হাওলাদারের ছেলে মিজানুর রহমান হাওলাদার (২৮)।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন; আজিজ, মতিন ও আজাদ। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম ছবিঃ নিউজরুম ফটো

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বেনারকে বলেন, “সোমবার রাতে সেখানে গোপন বৈঠক চলছে এমন সুনির্দিষ্ট সংবাদ পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কচুয়া থানা-পুলিশের একটি যৌথ দল রাত আড়াইটার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি হাতবোমা নিক্ষেপ করে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে তিনজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হন।”

পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই বৈঠকে ১০–১২ জনের উপস্থিত থাকার কথা। বৈঠকে আরও কেউ ছিলেন কিনা বা কারও আসার কথা ছিল কিনা, বৈঠকের আলোচ্য বিষয় কী ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বাগেরহাট শহরের বাসিন্দা আলী আজম টেলিফোনে বেনারকে জানান, বাগেরহাট জেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও গতকাল তা শহরজুড়ে আলোচনার বিষয় ছিল। তিনি জানান, এই জেলায় জঙ্গিদের তৎপরতার খবর আগে তেমন শোনা যায়নি।

বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুজন

গতকালই ঝিনাইদহে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন, যারা নাশকতার মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন; ঝিনাইদহ পৌর জামায়াতের আমির জহুরুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর (পশ্চিম) ছাত্র শিবিরের উপদেষ্টা তারিক হাসান সজীব।

মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে শহরের বাইপাস এলাকার শহীদ নজির উদ্দিন সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বেনারকে জানান।

জহুরুলের বিরুদ্ধে সাতটি ও সজীবের বিরুদ্ধে নাশকতার একটি মামলা রয়েছে বলে এএসপি আজবাহার জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, “শহরের বাইপাস সড়ক দিয়ে কালীগঞ্জ থেকে তিনটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের টহলদল তাদের থামতে সংকেত দিলে তিনটি হাতবোমা নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে তারা।”

তিনি জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।