কক্সবাজারে আনসার ক্যাম্প লুট ও কমান্ডার হত্যার ঘটনায় ৫ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

ঢাকা থেকে জেসমিন পাপড়ি
2016.06.30
Rohinga-arrest620.jpg কক্সবাজারের টেকনাফে আনসার কমান্ডারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ রোহিঙ্গা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। জুন ৩০, ২০১৬।
বেনার নিউজ

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের আনসার কমান্ডারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ রোহিঙ্গা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ওই ঘটনায় আনসার ক্যাম্পে অস্ত্রও লুট করা হয়েছিল।

র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এস এম শরাফত বেনারকে জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের পাশের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোচনী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত জালাল আহমেদের ছেলে আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত রফিক প্রকাশ মামুন মিয়া (৩০), চট্টগ্রামের হালিশহরে বসবাসকারী আবদুর রাজ্জাক (২৫), মোহাম্মদ হারুন (৩০), আবদুস সালাম (২৯) ও জয়নাল প্রকাশ জানে আলম(৫০)।

গত ১৩ মে টেকনাফের মোচনী এলাকায় ৩০-৩৫ জন মুখোশধারী হামলাকারী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে হামলা চালায়। তারা আনাসার ব্যারাকের কমান্ডার মো. আলী হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে।

এসময় ব্যারাকের অস্ত্রাগার থেকে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি লুট করে দুর্বৃত্তরা। ব্যারাকের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন ওই ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসএম শরাফত জানান, রফিক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ২০ হাজার টাকা নেওয়ার শর্তে সে এ হামলায় অংশ নেয়। এমনকি অস্ত্র লুটের বিষয়টিও স্বীকার করেছে ওই আসামি।

এর আগে এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.শফিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, এদের মধ্যে নুরুল আবছার অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

তার জবানবন্দিতে বলা হয়, ফারুক নামে এক পাকিস্তানি আনসার ব্যারাকে ওই হামলার নেতৃত্ব দেয়। ক্যাম্পে হামলার উদ্দেশ্য ছিল মিয়ানমারের জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করা।

রোহিঙ্গা নেতারা অবশ্য বলছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা কক্সবাজারে অবস্থিত নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্য নয়। তবে তারা প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করেছেন।

এ প্রসঙ্গে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইমরান বেনারকে বলেন, “যারা আটক হয়েছেন, তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কেউ নন। বাইরের একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে তারা আটক হয়েছেন। তবে আমরা চাই আনসার কমান্ডার হত্যাকারীরা শাস্তি পাক। সেটা যে-ই হোক না কেন।”

তিনি বলেন, “কয়েকজন অপরাধীর জন্য পুরো রোহিঙ্গা শিবির কলঙ্কিত হতে পারে না। তা ছাড়া আমরা কোনো অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত নই।”

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।