মিয়ানমারে সংঘাত: আবারো বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন দেশটির সীমান্তরক্ষীরা
2024.03.11
কক্সবাজার

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সাথে সরকারি বাহিনীর চলমান সংঘর্ষের জেরে সোমবার থেকে আবার দেশটির সীমান্তরক্ষীরা আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত দিয়ে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে রাত সাড়ে দশটার দিকে এক বার্তায় জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) হামলার মুখে সোমবার দুপুর থেকে তাঁরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেন বলেও জানান বিজিবি কর্মকর্তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন রাত সোয়া ১০টায় বেনারকে বলেন, “সীমান্তে এখনো গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক সেখানকার পরিস্থিতি এবং স্থানীয়দের খোঁজ-খবর রাখছি।”
এর আগে মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠানো হয়। বান্দরবানের তুমব্রু, ঘুমধুম ও কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা তখন প্রবেশ করেছিলেন।
ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ
মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সাবের আহমেদ (৪৩) নামের ওই ইউপি সদস্য সোমবার বিকেলে গুলিবিদ্ধ হন।
“সীমান্তের জামছড়ি এলাকায় বিকেলে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করছিলেন সাবের। এ সময় সীমান্তের ওপার থেকে আসা একটা গুলি তাঁর কোমরে এসে লাগে। তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে,” বেনারকে জানান
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন।
আহত ইউপি সদস্য সাবের হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, বিজিবির বিওপি থেকে আনুমানিক একশ থেকে দেড়শ গজ দূরে তিনি গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
“সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে,” জানিয়ে বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বেনারকে বলেন, “এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।”
“এখনো থেমে থেমে গুলিবর্ষণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ভয়ভীতির মধ্যে আছি,” রাত সাড়ে নয়টার দিকে বেনারকে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বাসিন্দা মো. শাহাজান।