শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ‘বিপজ্জনক’ টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিশ

কামরান রেজা চৌধুরী
2024.08.15
ঢাকা
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ‘বিপজ্জনক’ টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিশ সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে ঢাকার রমনা এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ার ভেতর হাঁটছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। ১৮ জুলাই ২০২৪।
[রয়টার্স]

গত মাসে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গণ-আন্দোলনে রূপ নেওয়া বিক্ষোভ-সমাবেশ দমন করতে শিক্ষার্থীসহ বিক্ষোভকারীদের ওপর মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারগ্যাস সেল ব্যবহার করেছে পুলিশ।

নীতিমালা অনুযায়ী, দূর থেকে ফাঁকা জায়গায় টিয়ারগ্যাস সেল ব্যবহারের কথা থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে আবদ্ধ স্থানে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে ব্যবহৃত টিয়ারসেলের কয়েকটি খালি খোলস রাস্তা থেকে সংগ্রহ করেছেন বেনার প্রতিনিধি। সেগুলোর ওপর বাংলাদেশ পুলিশ লেখা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় এবছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে।

একইভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ রাবার বুলেটের খোসাও পাওয়া গেছে। ব্রাজিলের তৈরি একটি রাবার বুলেট ক্যানে লেখা রয়েছে, “মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর ব্যবহার বিপজ্জনক।”

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) জানিয়েছে, বেশি পরিমাণে এবং বেশি সময় ধরে টিয়ারগ্যাসের সংস্পর্শে থাকলে মানুষের চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ।

মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারসেল ব্যবহার ‘নিয়মের পরিপন্থী’ বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেয়াদ পার হওয়ার পরে টিয়ারসেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারসেল ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো গবেষণা বা উপাত্ত নেই।

আন্দোলনকারীদের ওপর মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ব্যবহার সঠিক হয়নি জানিয়ে পুলিশ বলছে, এব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করা হবে।

বাংলাদেশে প্রতিবছর টিয়ারসেল কেনা হয় না বলে বৃহস্পতিবার বেনারকে জানান পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ.কে.এম. শহিদুল হক। তিনি বলেন, আবার মজুত টিয়ারসেল “সবসময় যে চেক করা হয় তাও না।”

“ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাঝে মধ্যে পরিদর্শন করে মেয়াদ পার হওয়া টিয়ারগ্যাস সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ধ্বংস করার কথা বলে দেন। এগুলো পরে কি করা হয় সেটিও সবসময় চেক করা যায় না,” বলেন তিনি।

তিনি বলেন, টিয়ারগ্যাস ব্যবহারের উদ্দেশ্য “দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ। টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করলে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। চোখ-মুখ জ্বলে। এর ফলে প্রাণহানি এড়ানো যায়।”

তাঁর মতে, মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারগ্যাস সেল ব্যবহার করলে সেগুলোর “প্রভাব বেশি থাকে না” ফলে মেয়াদ পার হয়ে গেলে সেগুলো ব্যবহার করা “উচিত নয়।”

তবে ২০ জুলাই সুপ্রিমকোর্ট ভবনের সামনে মোতায়েন এক দাঙ্গা পুলিশকে মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারসেল ব্যবহারে কোনো সমস্যা হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বেনারকে বলেন, “নতুন গুলোর চাইতে পুরাতনগুলো আরো ভালো করে ফোটে। ...চোখ জ্বলে, কাজ হয়।”

76f10646-4b58-4f9f-9229-7fbdd57cbc69.jpg
ঢাকার মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। ১৮ জুলাই ২০২৪। [বেনারনিউজ]

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবদ্ধ স্থানে ব্যবহার

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট পাঁট মিটার দূর থেকে আবদ্ধ স্থানে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীর চোখে এগুলো আঘাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ঢাকার মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সমবেত হন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী।

ওই সময় আন্দোলনকারীদের ওপর “পুলিশ যে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে সেগুলোর মেয়াদ ছিল না। এগুলোর খোসা আমরা দেখেছি,” বলে বেনারকে জানান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সৈয়দ আশরাফুল বাশার।

তিনি বলেন, ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রামপুরার কাছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হলে পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে গিয়ে বিক্ষোভ তারা বাধা দেবে না।

“তাদের কথা মতো আমরা ক্যাম্পাসে চলে আসি। সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আমাদের ওপর সর্বোচ্চ পাঁচ মিটার দূর থেকে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট, গুলি চালানো শুরু করে। আবদ্ধ ক্যাম্পাসের পুরো এলাকায় ধোঁয়ায় ভরে যায়। আমরা দম নিতে পারছিলাম না,” বলেন আশরাফুল বাশার।

তিনি বলেন, ওই হামলায় “শতাধিক শিক্ষার্থী” আহত হয়েছেন যাঁদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কাউকে কাউকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে। ...বেশ কয়েকজনের চোখে গুলি লেগেছে।”

মানবাধিকার কর্মীদের মতে, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেটের এধরনের ব্যবহার মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নীতিমালার লঙ্ঘন।

তবে পুলিশের হাতে ‘পর্যাপ্ত’ টিয়ারগ্যাস সেল ও রাবার বুলেট না থাকায় “হাতে যা ছিল” সব ব্যবহার করা হয়েছে বলে বেনারকে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মো. ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, “আমাদের নজর ছিল দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ। সেকারণে আমাদের হাতে যা ছিল সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। কোনটির মেয়াদ শেষ, কোনটির মেয়াদ রয়েছে সেটি দেখা সম্ভব হয়নি।”

“মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ব্যবহার করা সঠিক হয়নি,” স্বীকার করে তিনি বলেন, “অভিযোগ পাওয়া গেলে সেটি তদন্ত করে দেখা হবে কেন সেগুলো ব্যবহার করা হলো।”

আন্দোলন দমাতে মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারসেল ব্যবহারের বিষয়ে অবগত নন জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর বেনারকে বলেন, “যদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেটি টিয়ারগ্যাস ব্যবহারের বিধিবদ্ধ নিয়মের পরিপন্থী।”

এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেলে “তদন্ত করে দেখা হবে” বলেও জানান তিনি।

IMG_3718.jpg
ঢাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে জুলাইতে ব্যবহার করা একটি টিয়ারসেল ও একটি রাবার বুলেটের খোসা দেখাচ্ছেন এক ব্যক্তি। এ দুটিরই মেয়াদ দুই থেকে তিন মাস আগে পার হয়ে গেছে। ১৫ আগস্ট ২০২৪। [কামরান রেজা চৌধুরী/বেনারনিউজ]

প্রাণঘাতি হতে পারে টিয়ারসেল

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) টিয়ারগ্যাস সম্পর্কে জানিয়েছে, এতে কয়েক ধরনের মিশ্র রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ক্লোরোঅ্যাসেটোফেনন (সিএন) এবং ক্লোরোবেনজাইলিডেনেমালোনোনাইট্রাইল (সিএস)।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া শুক্রবার বেনারকে বলেন, বাংলাদেশে যে টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করা হয় সেগুলো আসলে সিএস গ্যাস, যেগুলোর সর্বোচ্চ পরিমাণ শতকরা পাঁচ ভাগ।

টিয়ারগ্যাস সব সময় খোলা স্থানে ব্যবহার করতে হয় যাতে ব্যবহারের পর গ্যাস বাতাসের সংস্পর্শে এসে মিশে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, “আবদ্ধ স্থানে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না সেটি মেয়াদের মধ্যে হোক অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ হোক।”

দীর্ঘক্ষণ একটি স্থানে টিয়ারগ্যাসের সংস্পর্শে থাকলে “শ্বাসপ্রশ্বাস সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে। এমনকি প্রাণঘাতীও হতে পারে” বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে “সেগুলোর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এগুলো এভাবে ব্যবহার ঠিক নয়।”

সিডিসির মতে, টিয়ার গ্যাসের প্রভাবে স্বাস্থ্যহানির বিষয়টি নির্ভর করে একজন মানুষ কতটুকু পদার্থের সংস্পর্শে কতক্ষণ থাকছে তার ওপর। সাধারণত টিয়ারগ্যাসের সংস্পর্শে আসলে চোখ দিয়ে অতিমাত্রায় পানি পড়া ছাড়াও চোখ জ্বলে, ঝাপসা হয়ে যায়, নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে, নাক ফুলে যায়, জ্বলে। টিয়ারগ্যাস মুখের ভেতরে গেলে গলা জ্বলে, অস্বস্তিবোধ হয়, লালা বের হয় ও বমি হতে পারে।

টিয়ারগ্যাস ফুসফুসে প্রবেশ করলে বুক চাপ বোধ করা, কাশি, দমবন্ধ হওয়ার অনুভব ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা হয়। আবদ্ধ স্থানে বেশিক্ষণ এবং বেশি পরিমাণ টিয়ারগ্যাসের মধ্যে থাকলে তা দৃষ্টি শক্তির ওপর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, এমনকি চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। গলা ও ফুসফুসে অত্যধিক পরিমাণে টিয়ারগ্যাস চলে গেলে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হতেও পারে বলেও জানায় সিডিসি।

AP24203440888189.jpg
ঢাকায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের দিকে টিয়ারসেল ছুঁড়ছেন একজন পুলিশ সদস্য। ১৯ জুলাই ২০২৪। [এপি]

ক্ষতিকর প্রভাব অজানা

মেয়াদ পার হওয়ার পরে টিয়ারসেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারসেল ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো গবেষণা বা উপাত্ত নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

“মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারগ্যাস ব্যবহারের ব্যাপারে সারাবিশ্বের কোথাও কোনো ভালো উপাত্ত নেই, গবেষণা নেই,” জানিয়ে অধ্যাপক সুলতানা রাজিয়া বলেন, “সেকারণে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে এর ক্ষতিকর প্রভাব।”

তবে সকল দেশই দেখা যাচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারগ্যাস ব্যবহারের নজির রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুস সালাম বেনারকে বলেন, “মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ারগ্যাস ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে সেটি অনুমান করা যায়। যদি ঝুঁকি না থাকতো তাহলে তো মেয়াদ থাকত না; সতর্কতার কথা বলা হতো না।”

তাঁর মতে, “মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ার পর ব্যবহার করা হলে, ব্যবহার করা রাসায়নিক পদার্থ বাতাসের সংস্পর্শে এসে অন্য কোনো ক্ষতিকর যৌগ তৈরি করতে পারে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে। তবে এজন্য গবেষণা প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, টিয়ারসেল ব্যবহারের ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবহারকারী পুলিশ সদস্যদেরও “ক্ষতি হচ্ছে।”

মানবাধিকার লঙ্ঘন

টিয়ারগ্যাস সেল ব্যবহারের উদ্দেশ্য মানুষকে আহত করা নয়, বরং “ছত্রভঙ্গ’ করে দেওয়া বলে বৃহস্পতিবার বেনারের কাছে মন্তব্য করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

একটি আবদ্ধ জায়গায় একত্রিত হওয়া মানুষদের ওপর টিয়ারগ্যাস সেল ব্যবহার “আইন কোনোক্রমেই অনুমোদন করে না,” বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে সেটি “মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই অপরাধ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যের শাস্তি হতে পারে।”

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।