“রাতে আমি ঘুমাতে পারি না,” বললেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত কিশোর
2024.10.04
ঢাকা ও ওয়াশিংটন ডিসি
পুলিশের গুলিতে চিরদিনের জন্য তাঁর ফুটবল খেলার স্বপ্ন ভেঙে যাবার পর নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন কিশোর রিফাত হালদার।
গুলিতে আহত হবার পর তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। গত জুলাই-আগস্টে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুণদের একজন ছিলেন কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত (১৭)।
ঢাকায় এক মিছিলে অংশগ্রহণের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। একটি গুলি রিফাতের পায়ে লাগে।
“রাতে ঘুমাতে পারি না। …রাত্রিবেলা মনে পড়ে আমি মাঠে যেতাম। এখন আমি মাঠে যেতে পারলেও [ফুটবল] খেলতে পারব না। এগুলো মনে পড়লে আমি কান্না ধরে রাখতে পারি না,” ভিডিও সাক্ষাৎকারে বেনারনিউজকে বলেন রিফাত।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আহত হয়ে অঙ্গহানির শিকার ২৬ জনের মধ্যে একজন রিফাত। ওই আন্দোলনে একটানা ১৫ বছর বাংলাদেশ শাসনের পর পদত্যাগ করে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আন্দোলনে আহত একজনকে বাঁচাতে গিয়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন অটো রিকশাচালক রাজু মিয়া (৩০)। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক গণ আন্দোলনে অঙ্গহানির শিকার ব্যক্তিদের বিনামূল্যে কৃত্রিম হাত-পা প্রতিস্থাপন করে দিচ্ছে। ঢাকায় ব্র্যাকের রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে রিফাত ও রাজুর মতো একটি দলের সাথে কথা বলে বেনারনিউজ।
“যা হবার তো হয়েই গেছে। যা যাবার তো চলেই গেছে। এখন তো শেখ হাসিনার পা কেটেও আমার পায়ে লাগানো যাবে না, যদি তা করাও যায়, তাহলে অন্য যাদের হাত-পা গেছে তাদের কী হবে?” বেনারকে বলেন রাজু।