অবশেষে ঢাকার মগবাজার–মৌচাক উড়ালসড়কের একাংশ উন্মুক্ত

ঢাকা থেকে শাহরিয়ার শরীফ
2016.03.30
160330-BD-flyover-620.jpg ঢাকার আলোচিত মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কের একাংশ খুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। ৩০ মার্চ ২০১৬।
ফোকাস বাংলা

অবশেষে ঢাকার আলোচিত মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কের একাংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উড়ালসড়কের সাতরাস্তা থেকে রমনার হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন। এরপর ওই অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করেছে।

তিন বছর অপেক্ষার পর সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত সদ্য খুলে যাওয়া ফ্লাইওভার নিয়ে উচ্ছ্বসিত ওই পথের যাত্রী ও এলাকার বাসিন্দারা। ঢাকাবাসীর অনেকেই গতকাল উড়ালসড়কটি পার হন।

অনেকে পায়ে হেঁটে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই দ্বিতল সড়কটি ঘুরে দেখেন।

“এত সুন্দর একটি স্থাপনা উপহার দেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। আশা করা যায় এই সেতুর ফলে যানজট কমবে,” জানান পথচারী শফিকুল ইসলাম, যিনি তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত একটি গার্মেন্টসের প্রোডাকশন ম্যানেজার।

প্রধানমন্ত্রী সাতরাস্তা অংশে উদ্বোধনের ফলক উন্মোচন করে উড়ালসড়কের ওপর দিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল প্রান্তে পৌঁছান। এরপর অফিসার্স ক্লাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের বাকি অংশ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী আমরা ঢাকা মহানগরীকে একটি বিশ্বমানের মেট্রোপলিটন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”

“ঢাকা শহরের যানজট কমাতে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার (উড়ালসড়ক) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য ঢাকাবাসীর, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে এর নির্মাণের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়,” উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাঁর সরকার উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল এবং হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্রুতগামী উড়ালসড়ক নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করেছে।

প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, গতকাল চালু হওয়া উড়ালসড়কের অংশটির দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটারের কিছু বেশি। এই উড়ালসড়কটি মোট আট কিলোমিটার দীর্ঘ। বাকি ছয় কিলোমিটারের কাজ শেষ না হওয়ায় এর পুরো সুফল পাচ্ছে না মানুষ। তবে অচিরেই এর নির্মাণকাজ শেষ হবে।

উড়ালসড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি। অথচ চুক্তি অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। ব্যর্থ হওয়ার ফলে সময় ও ব্যয় দুটিই বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই উড়ালসড়ক প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা।

সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) ও ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওএফআইডি) ঋণ এবং সরকারের নিজস্ব অর্থ মিলিয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।