বাংলাদেশে মুক্ত চিন্তার লেখকদের জন্য ‘স্বপ্ন দেখাও এক যুদ্ধ’

জন বেকটেল
2017.10.27
ওয়াশিংটন ডিসি
ঢাকায় ২০১২ সালের একুশে বইমেলায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্টলের সামনে অভিজিৎ রায় (বামে) ও রণদীপম বসু। ঢাকায় ২০১২ সালের একুশে বইমেলায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্টলের সামনে লেখক অভিজিৎ রায় (বামে) ও রণদীপম বসু। এর তিন বছর পর ২০১৫ সালে বইমেলা থেকে ফেরার পথে অভিজিৎ রায়কে ইসলামি জঙ্গিরা কুপিয়ে হত্যা করে। একই বছর অক্টোবরে আরেকটি জঙ্গি হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন রণদীপম।
সৌজন্যে: রণদীপম বসু

বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদীদের হাতে ধারাবাহিকভাবে মুক্তচিন্তকদের হত্যার সর্বশেষ ঘটনা দেড় বছর আগে ঘটলেও এখনো আতঙ্ক তাড়িয়ে বেড়ায় লেখকদের।

বেনারনিউজের সাথে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে দেশছাড়া ও দেশে থাকা মুক্তচিন্তার দুজন লেখকই জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও মুক্তচিন্তক মানুষদের হত্যার ঘটনা সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে তাঁদের জীবনযাত্রা।

লেখক সবাক পাখি দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী একটি দেশে আশ্রয় নিলেও নিজের অবস্থান জানাতে আতঙ্কিত। অন্যদিকে লেখক রণদীপম বসু দেশের ভেতর এক রকম লুকিয়েই রেখেছেন নিজেকে।

“মুক্তচিন্তা ও তা প্রকাশের স্বাধীনতা এখন বাস্তবিকই রুদ্ধ। …আপাত কোনো আলোর চিহ্ন চোখে পড়ছে না। …এমনিক এখন স্বপ্ন দেখাও এক ধরনের যুদ্ধ,” বেনারের কাছে ইমেইলে এভাবেই বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা সম্পর্কে মন্তব্য করেন রণদীপম বসু।

ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ে প্রশ্ন তোলা কিংবা ধর্মীয় মৌলবাদের বিপক্ষে লেখার কারণে বাংলাদেশে ইসলামি মৌলবাদীদের হামলায় একাধিক মুক্তচিন্তক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দুইজনের কেউই দেশে নিরাপদ বোধ করেন না বলে জানিয়েছেন বেনারকে।

যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক, নাস্তিক ও মুক্তচিন্তক লেখকদের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন প্লাটফর্ম ‘মুক্তমনা’র একজন সম্পাদক সবাক পাখি, যাঁর মতে, বাংলাদেশে মুক্তচিন্তক লেখকদের হত্যার পেছনে রয়েছে সরকারের সমর্থন।

“আজীবনের জন‍্য আমি তাদের টার্গেট। দেশে ফিরে গেলে ওরা সুযোগ পেলেই মেরে ফেলবে। ১৬ কোটি মানুষের মাঝে আমার মৃত‍্যু কেবলই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে। এর বেশি কিছু না,” ইমেইলে বেনারকে বলেন সবাক।

“আমি দূর ভবিষ‍্যতেও দেশে যাব না,” বলেন তিনি।

প্রাচীন ভারতীয় বস্তুবাদী ও নাস্তিক্য দর্শন গবেষক, গল্পকার ও কবি রণদীপম বসু ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে জঙ্গিদের হামলায় আহত তিনজনের একজন। দেশ ছাড়তে চাইলেও তাঁর মতে ‘দুর্ভাগ্যক্রমে’ তাঁকে আটকে থাকতে হচ্ছে দেশের ভেতর।

রণদীপম এখনো হামলার আতঙ্কে থাকেন। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তাঁকে এক রকম লুকিয়েই জীবন যাপন করতে হয় বাংলাদেশের ভেতর।

বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদীদের হাতে মুক্তচিন্তক লেখক ও ব্লগার হত্যার ঘটনা শুরু হয় ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দারকে ঢাকায় তাঁর বাসার কাছে কুপিয়ে হত্যার মধ্য দিয়ে।

এরপর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে একে একে ইসলামি জঙ্গিদের চাপাতির আঘাতে ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, সামাজিক অধিকারকর্মীসহ অন্তত ১০টি হত্যার ঘটনা ঘটে, আহত হন আরো অনেকে। এই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ ঘটনা ২০১৬ সালের এপ্রিলে আইনের ছাত্র ও ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ড।

আজীবনের জন‍্য টার্গেট

বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও সবাক ও রণদীপম দুজনেই আতঙ্কিত সরকারের ওপর মৌলবাদীদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও পর্যায়ক্রমে সরকারের ধর্মীয় মৌলবাদের দিকে ঝুঁকে পড়া নিয়ে।

এ প্রসঙ্গে দুজনেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইসলামি মৌলবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সাথে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি উদাহরণ হিসেবে এনেছেন।

সবাক পাখি, যিনি পেশায় একজন গ্রাফিক ডিজাইনার ও ভিডিও এডিটর, তিনি ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে সংশয় ও নিজের নাস্তিক হয়ে ওঠার ঘটনা লিখেছেন। তাঁর মতে ২০০৮ সালেও বাংলাদেশে একটি সহিষ্ণু সমাজ ছিল।

কিন্তু যত দিন গেছে, লেখালেখির জন্য তিনি মৃত্যুর হুমকি পেতে শুরু করেন। তিনি জানান, ধর্মে নারীদের অসম্মানজনক অবস্থান, হত্যার নির্দেশনা, সমাজিক অস্থিরতা তৈরির জন্য ধর্মের ব্যবহার ও ঈশ্বর বিষয়ক কল্পনার সীমাবদ্ধতা তাঁর লেখালেখির বিষয়।

এইসব বিষয়ে লেখালেখির কারণে তার ওপর ক্রমাগত হুমকি আসতে থাকে। ব্লগ থেকে তার পোস্ট সরিয়ে ফেলার জন্য কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়তে থাকে।

“এখন বুঝতে পারছ না, কিন্তু পরে পস্তাবে,” এই রকম একটি হুমকি আসে তাঁর কাছে।

তারপরও সবাক তাঁর লেখালেখি চালিয়ে যেতে থাকেন।

“ঈশ্বর ধারণার সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমি ছোটগল্প, স্যাটায়ার এবং কবিতা লিখেছি। আমি ধর্মীয় উগ্রবাদ, পশ্চাদপদতা, অসহিষ্ণুতা ও ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখা শুরু করলাম,” বেনারকে বলেন সবাক।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সবাক জানান, বাংলাদেশে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকারি অভিযান সাম্প্রতিক ব্লগার হত্যার ঘটনার বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছিল।

তাঁর মতে প্রথম অভিযান হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। পরবর্তীতে এরকম বেশ কয়েকটি অভিযানে অনেকগুলো গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে। যদিও সরকার সব সময় দেশে জঙ্গিদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এবং রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা গোপনে ছাড়া পেয়ে যায়।

“দেখুন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ হয়ত আবার চোখের আড়ালে চলে যাবে। কিন্তু আমার জীবনের উপর থেকে ঝুঁকি চলে যাবে না। আজীবনের জন‍্য আমি তাদের টার্গেট,” বলেন সবাক।

“দেশে ফিরে গেলে ওরা সুযোগ পেলেই মেরে ফেলবে। ১৬ কোটি মানুষের মাঝে আমার মৃত‍্যু কেবলই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে। এর বেশি কিছু না,” বলেন তিনি।

সবাকের মতে রাজনৈতিক কারণেই শেখ হাসিনা হেফাজতে ইসলামের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছেন, যে হেফাজত তাঁর ছবিসহ ব্যানার নিয়ে মিছিল করে শাস্তি দাবি করেছিল।

তাঁর মতে, প্রতিপক্ষ বিএনপিকে দুর্বল করার কৌশল হিসেবেই মৌলবাদীদের সাথে শেখ হাসিনার এই ঘনিষ্ঠতা।

“হেফাজতের সাথে এই সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে কিছু নাস্তিক ব্লগার মারা গেলে অথবা দেশ ছাড়লে হাসিনার কিছু আসে যায় না। কারণ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে নাস্তিকদের মৃত‍্যু ভোটের দিক থেকে সরকারকে কোনো চাপে ফেলে না,” বলেন সবাক।

২০১৫ সালে দেশ ছাড়ার মাস দুয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে সবাক বলেছিলেন যে তাঁর দেশ ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং জঙ্গিদেরই উচিৎ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। যদিও তখন তাঁকে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

“ব্লগারদের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে সরকার যা বলছে তা মিথ‍্যা কথা। আমি দেশ ছাড়ার পর দু’জন ব্লগার এবং দশজনের বেশি প্রগতিশীল মানুষ প্রাণ হারিয়েছে জঙ্গিদের হাতে,” বলেন সবাক।

তিনি যোগ করেন, “সরকারের কোনো সদিচ্ছা চোখে পড়েনি। সম্ভাবনাও নেই।”

দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী একটি দেশে আশ্রয় নিলেও হুমকির ভয় কাটেনি তাঁর। যদিও কোনোভাবেই লেখালেখি বন্ধ করার ইচ্ছা নেই তাঁর।

সবাক বলেন, “বেশ কয়েকবার ভেবেছি লেখালেখি কমিয়ে দিব। কিন্তু পরে আর মনে থাকে না। আসলে কারো ভয়ে চুপ থাকাটা লজ্জার এবং গ্লানির। এটা আমাকে দিয়ে হবে না। আমার লেখালেখি বন্ধ হবে না।”

মত প্রকাশে হুমকি

গত মে মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মত প্রকাশে স্বাধীনতার ক্ষেত্রে হুমকিতে থাকা মুক্ত চিন্তার লেখকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার কারণে সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে ২০১৫ সালে ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যার পর প্রধানমন্ত্রীর বহুল প্রচারিত একটি মন্তব্য উল্লেখ করা হয়, যেখানে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবার অধিকার কারো নেই মন্তব্য করে বলেছিলেন “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সহ্য করা হবে না।”

তবে পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে অ্যামনেস্টির ওই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে আসা

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর একই সাথে জঙ্গিরা ঢাকার শাহবাগে জাগৃতি প্রকাশনী ও লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে হামলা চালায়। ওই হামলায় জাগৃতির ফয়সল আরেফিন দীপন নিহত হন। আর শুদ্ধস্বরে হামলার ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েও বেঁচে যাওয়া তিনজনের মধ্যে একজন লেখক রণদীপম বসু।

“সেদিনের সেই হামলাকালীন সময়ের কোনো ঘটনাই আমার স্মৃতিতে নেই,” জানিয়ে রণদীপম বলেন, “বর্তমানে এক অনিরাপদ আশঙ্কাজনক পরিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো সামান্য সম্ভাবনাও আমার চোখে পড়ে না।

“একান্ত প্রয়োজন ছাড়া আমি কোথাও বের হই না। অনিবার্য প্রয়োজনে বের হলেও আমি আর মানসিকভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক থাকতে পারি না। মানুষের অপরিচিত মুখ দেখলেই চমকে ওঠি, এই বুঝি পেছন থেকে কেউ হামলে পড়ল…”

“আমি হয়ত মানুষের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছি,” জানান রণদীপম।

মৌলবাদীদের ভয়ে এখন প্রকাশকরা তাঁর লেখা প্রকাশ করতে আতঙ্কিত বলে জানান রণদীপম।

তিনি বলেন, “আমি আমার কলমের স্বভাবকে রুদ্ধ করিনি ঠিকই, কিন্তু কোথাও তা প্রকাশেরও সুযোগ নেই। এ দেশে, এ সমাজে থেকে লেখা কোনো ব্লগ বা অনলাইনে প্রকাশের ঝুঁকি নেয়াও এখন আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্ভব নয়।”

ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পরবর্তী সময়ে সরকারের ধারাবাহিক জঙ্গিবিরোধী অভিযান সত্ত্বেও তাঁর মতো লেখকদের জন্য এখনো দেশ নিরাপদ নয় বলে জানান রণদীপম।

তিনি বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তচিন্তকরা তাঁদের চিন্তা প্রকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিতে এখন। একদিকে উগ্রবাদী ধর্মীয় মৌলবাদের প্রকাশ্য হুমকী ও আক্রমণ, অন্যদিকে মুক্তচিন্তার প্রকাশ রুদ্ধ করতে ব্লাসফেমি জাতীয় আইনের মাধ্যমে সরকারি অসহিষ্ণুতা।”

অভিজিৎ রায়সহ জঙ্গিদের হাতে নিহত ব্লগার ও লেখকদের হত্যার বিচার হবার বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে রণদীপমের।

প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকায় একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ইসলামি জঙ্গিরা। একই আক্রমণে মারাত্মক আহত হন অভিজিতের স্ত্রী লেখক বন্যা আহমেদ।

“এগুলো কোনো তাৎক্ষণিক আবেগীয় হত্যাকাণ্ড নয়। এর পেছনে এক সুদূরপ্রসারী ভয়ঙ্কর নীলনকশার আয়োজন রয়েছে। একদিকে সেক্যুলার লেখকদের কলম থামিয়ে দেয়ার আয়োজন, অন্যদিকে তাঁদের লেখা যাতে কেউ প্রকাশ করার দুঃসাহস না দেখায় সেই আতঙ্ক তৈরি করা,” বলেন রণদীপম।

তিনি বলেন, “এতটা সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কী করছে না-করছে তার কার্যকর কোনো ফলাফল এখনও দৃশ্যমান নয়। ফলে আমাদের লেখক ও প্রকাশকদের মধ্যে সেই আতঙ্কের প্রভাব এখন এতটাই জাঁকিয়ে বসেছে যে, মুক্তচিন্তার প্রকাশ এখন পুরোপুরি রুদ্ধ হয়ে আছে।”

“কেন যে খুনী ধরা পড়ছে না বা সাজা পাচ্ছে না তার উত্তর হয়ত রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে থাকা নীতিনির্ধারকরাই দিতে পারেন,” বলেন রণদীপম।

জঙ্গিদের আক্রমণের হাত থেকে কোনোমতে বেঁচে ফিরে এলেও এখনো নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তাহীনতা কাটেনি রণদীপমের। বিশেষত তাঁর সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত তিনি।

তিনি বলেন, “অনেকের কাছেই, এমনকি অনেক মিডিয়ার কাছেও এরকম একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে যে, আমি হয়ত অন্য অনেক লেখকের মতোই বিদেশে নিরাপদে আছি। নিজের নিরাপত্তার কারণেই এই ভুল ভাঙাতে আমি আগ্রহী হইনি।”

“তাই কোনো মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্য হইনি। আর আমার মতো লেখকের জন্য এই অনিরাপদ জনপদে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে নিজের অবস্থান ফের চিহ্নিত করার কল্পনাও করি না আমি,” বলেন রণদীপম বসু।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।