মিয়ানমার সেনাদের খোশগল্পে হত্যাকাণ্ডের চিত্র
এক সৈনিকের হারিয়ে যাওয়া ফোনে পাওয়া গেলো সেনাবাহিনীর নৃশংসতার প্রমাণ
সতর্কতা: প্রতিবেদনে স্পর্শকাতর অনেক ঘটনা ও চিত্র রয়েছে, যা অনেকের জন্য পীড়াদায়ক হতে পারে।
খিন মং সো এবং নায়ারিন কিয়াউ, আরএফএ বার্মিজ সার্ভিস
ধুলায়-রক্তে মাখামাখি পাঁচটি লাশ স্তূপ করে রাখা, প্রতিটি লাশের চোখ বাঁধা, হাতগুলোও বাঁধা পিছমোড়া করে। দেখে বোঝা যায়, তাঁদের গুলি বা জবাই করে মারা হয়েছে। লাশগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে খোশগল্প করছেন দুই সশস্ত্র ব্যক্তি, যাদের একজনের কাঁধে ঝোলানো রাইফেল, অন্যজন বিড়ি টানছেন। লাশের স্তূপের সামনে তাঁদের এমন নির্বিকার অবস্থান সহজেই দৃষ্টি কাড়ে।
সম্প্রতি এমন অনেকগুলো ভয়ঙ্কর ছবি ও ভিডিও বেনারনিউজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) হাতে এসেছে। ভিডিওগুলো এক মিয়ানমার সৈনিক নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেছিলেন। এই রেকর্ডগুলো মিয়ানমারের যুদ্ধ বিধ্বস্ত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সাগেইঙ অঞ্চলের আয়াদো এলাকায় জান্তাবিরোধী জোট পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সময় সৈন্যদের দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার নিদর্শন।
সেনা অভিযানের পর সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা ফোনটি কুড়িয়ে পেয়ে ভিডিও ও ছবিগুলো উদ্ধার করেন। পরে অন্য এক ব্যক্তির মাধ্যমে ভিডিও ও ছবিগুলো রেডিও ফ্রি এশিয়ার হাতে এসে পৌঁছায়।
ছবিগুলোর একটিতে দেখা যায়, প্রায় ৩০ জন মানুষকে একটি বৌদ্ধ মঠের বারান্দায় পিছমোড়া করে বেঁধে বসিয়ে রাখা হয়েছে, যাদের দু’জনকে এর পরের দিন তোলা পাঁচটি লাশের মধ্যেও পাওয়া যায়।
আরেক সারি ছবিতে পিছমোড়া করে বাঁধা এক যুবককে দেখা যায়, যার মুখ ফোলা ও রক্তাক্ত। ছবিতে দেখা যায় এক ব্যক্তি এক হাতে ওই যুবকের চিবুক ধরে তাঁকে ক্যামেরার দিকে তাকাতে বাধ্য করছেন, অন্য হাতে ধরে আছেন একটি ছোরা।
ছবিগুলোর মধ্যে এক সৈনিকের অনেক ‘সেলফি' ছবিও রয়েছে, যাতে বোঝা যায় ওই সৈনিকই ফোনটির মালিক। ওই ব্যক্তি মৃতদেহগুলোর পাশে বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবিতেও রয়েছেন।
দশ মিনিটের ভিডিওটিতে অন্য দুই ব্যক্তির সাথে ফোনের মালিককে ক্যামেরার সামনে আড্ডা দিতে দেখা যায়। তাঁরা কে কতজনকে হত্যা করেছেন, হত্যার পর লাশগুলোকে কী করেছেন সে বিষয়ে খোশগল্প করছেন। ভিডিওতে উপস্থিত ফোনের মালিকের পোশাকের সাথে একটি হ্যান্ড গ্র্যানেড ঝোলানো রয়েছে। চওড়া হাসির সাথে হত্যার বিবরণ দেবার সময় তাঁকে মাঝে মাঝে কটুবাক্যও ব্যবহার করতে দেখা যায়। ভিডিওটিতে অন্য আরো সশস্ত্র ব্যক্তিদের উপস্থিতি রয়েছে।
“তুমি বললে ২৬ জনকে মেরেছ। কীভাবে মারলে? শুধু গুলি করে?” ফোনের মালিককে জিজ্ঞেস করেন তাঁর এক সহযোদ্ধা।
“অবশ্যই, গুলি করে মেরেছি; হাত দিয়ে তো আর মারিনি,” উত্তর দেন ওই সৈনিক।
“জবাই করেও অনেককে মেরেছি। আমি নিজে পাঁচজনকে মেরেছি,” যোগ করেন ফোনের মালিক।
“আমি কখনই তা [গলা কাটা] করিনি,” বলেন তৃতীয় সৈনিক।
দ্বিতীয় সৈনিক তখন তাঁর মানুষ হত্যার হিসাব দেন, “আমার মনে হয় আট হবে, আটজনকে মেরেছি (জবাই করে)।”
ছবিতে তথ্যসূত্র
ছবিগুলো ভালো করে খেয়াল করলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে ভিডিও ও ছবিতে উপস্থিত ব্যক্তিরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্য। ছবিতে সৈন্যদের মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যাজ পরা অবস্থায় দেখা যায়, যার অন্তত একটি ছবি সাগেইঙ ভিত্তিক উত্তর-পশ্চিম সামরিক কমান্ডের। সৈন্যদের ব্যাকপ্যাক হিসেবে বাঁশের ঝুড়ি দেখা যায়, যা সাধারণত জান্তা সৈন্যরা ব্যবহার করেন। রাইফেলের বাটে লেখা নম্বর দেখেও একটি সামরিক ইউনিটকে শনাক্ত করা যায়।
এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য রেডিও ফ্রি এশিয়া মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ছেড়ে জান্তা বিরোধী আইন অমান্য আন্দোলনে (সিডিএম) যোগ দেওয়া সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন লিন হটেট অঙ এর সাথে যোগাযোগ করেছিল।
তিনি বলেন, “বন্দুকের ওপর ‘৭০৮’ ও ‘৪’ লেখা নম্বরগুলো নিশ্চিত করে যে তারা ৭০৮ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের (৭০৮ এলআইবি) চতুর্থ কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত। ব্যাটালিয়নটি ইয়াঙ্গুন-ভিত্তিক সামরিক অপারেশনের ৪ নম্বর কমান্ডের অন্তর্গত, যা সাগেইঙ এবং ম্যাগওয়ে অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সেখানে যৌথ অভিযানে জড়িত থাকতে পারে।”
সেল ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া বিষয়বস্তু সম্পর্কে মতামতের জন্য জান্তার উপ-তথ্যমন্ত্রী মেজর জেনারেল জাও মিন তুন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আরএফএকে বলেন, তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করছেন।
“এসব ঘটনার বিষয়ে আমরা শুধু মাঠ পর্যায়ে তদন্তের পরেই প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি। আমরা এখন এটি তদন্ত করছি,” বলেন তিনি।
মিয়ানমারের সাগেইঙ এবং অন্যান্য এলাকায় পিডিএফ, বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী এবং অন্যান্য জান্তা বিরোধী বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সময় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর জান্তা সৈন্যদের হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদনের সাথে ভিডিওতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কথোপকথনের মিল রয়েছে।
গ্রামে অভিযানের সময় সৈন্যরা নির্বিচারে বাসিন্দাদের আটক করে, বাড়িঘর লুট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। সশস্ত্র প্রতিরোধে সহায়তা করার অভিযোগে অধিবাসীদের নির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যা করার বিস্তারিত প্রতিবেদন রয়েছে। জান্তা সরকার আগে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বা পিডিএফকে এসব ঘটনার জন্য দায়ী করেছে।
সাগেইঙ অঞ্চলে প্রায় ৫৩ লাখ মানুষের বসবাস। সামরিক জান্তা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সেখানে সেনাবাহিনী এবং বিরোধীদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে লড়াই দেখেছে ঐ এলাকাটি। থাই এনজিও অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (বার্মা) বলছে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা কর্তৃপক্ষ মিয়ানমারে প্রায় দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে সাগেইঙ অঞ্চলে হত্যা করা হয়েছে অন্তত ৬৮৩ জনকে।
ফোনের ছবিগুলো জান্তা শাসনের অধীনে মিয়ানমারে চলমান নৃশংসতার অপরাধীদের কর্মকাণ্ডের এক বিরল দলিল। এতদিন নৃশংসতার শিকার ব্যক্তিরাই শুধু তাঁদের ওপর নির্যাতনের বিবরণ নথিভুক্ত করছিলেন। এই ভিডিওতে দায়ী ব্যক্তিদের মুখ থেকে সরাসরি সেইসব বিবরণ পাওয়া গেছে। তাঁরা কীভাবে অপকর্মগুলো করছেন এবং সেই কাজের সাফাই দেবার চেষ্টা করছেন আলাপচারিতায় তার বিস্তারিত বেরিয়ে এসেছে।
ছবিগুলো থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, সেগুলো চীনে তৈরি একটি অপ্প ফোনে তোলা হয়েছে। ছোরার আগায় জিজ্ঞাসাবাদ করা যুবকের ছবি ২৮ এপ্রিল, ২০২২-এ তোলা হয়েছিল। মঠের বারান্দায় হাত বেঁধে রাখা বন্দিদের ছবি ১০ মে এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার পাঁচটি লাশের ছবি তোলা হয়েছিল ১১ মে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর হাতে আয়াদাউ শহরে যে সময় হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, ছবিগুলো তার সমসাময়িক। ‘দি আয়াদাউ পোস্টে’র গত ১১ মে’র একটি ফেসবুক পোস্ট অনুসারে জান্তা সৈন্যরা ৭ মে আয়াদাউয়ের চিন পিন গ্রামের ছয় প্রহরীকে গুলি করে এবং ৩০ জনকে অপহরণ করে।
তবে আরএফএর বিশ্লেষণ অনুযায়ী ছবিগুলো সম্ভবত পার্শ্ববর্তী ইয়ে-ইউ এলাকায় তোলা। ১১ মে’র ছবিতে নিহত ব্যক্তিদের একজন একটি টি-শার্ট পরা ছিলেন, যাতে ঐ অঞ্চলের একটি মুদি দোকানের বিজ্ঞাপন ছিল।
ইয়ে-ইউ এর এক বাসিন্দা আরএফএকে বলেছেন, ১০ মে তোলা ৩০ জনের হাত বাঁধা ছবিটি ওই এলাকার মন তাইং পিন মঠে তোলা হয়েছে বলে তাঁর ধারণা। একটি পৃথক সূত্রও নিশ্চিত করেছে, ২৬ এপ্রিল তোলা ছাদের নিচে বেলকনির আরেকটি ছবি ওয়েট ফিউ গ্রামের একটি প্যাগোডার মতো। মোন তাইং পিনের ২৮ কিলোমিটার পশ্চিমে ঐ প্যাগোডা অবস্থিত। নিরাপত্তার স্বার্থে আরএফএ সূত্রের নাম উল্লেখ করছে না।
মন টাইং পিনের এক গ্রামবাসী বলেছেন, সৈন্যরা গ্রামের ২০ থেকে ৬০ বছর বয়সী কয়েক ডজন পুরুষকে ধরে নিয়ে মঠে আটকে রেখেছিল। তাঁদেরকে পেটানো হয়, মেরে ফেলা হয় এবং পরে তাঁদেরকে সেই গ্রামের বাড়িঘরে ঢুকিয়ে তাতে আগুন দেওয়া হয়।
বাসিন্দারা আরএফএ-কে ঘটনার পরবর্তী যেসব ছবি দিয়েছেন, তাতে রয়েছে বিধ্বস্ত বাড়িঘর, আগুনে প্রায় সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া মানুষের অবশেষ, ফুলে যাওয়া মৃতদেহ এবং একটি বিচ্ছিন্ন ধড়ের নিচের অংশের ছবি, যার পা দুটিও আলাদা করে সেখানে রাখা হয়েছিল।
হত্যার দম্ভ
সেল ফোনে পাওয়া ভিডিওতে তিন সৈন্যের বক্তব্যে মৃতদেহগুলোকে কী করা হয়েছিল তার বিবরণ আছে। গত মাসে ইয়ে-ইউ জনবসতিতে আবিষ্কৃত দেহাবশেষের অবস্থার সাথে সৈন্যদের বর্ণনার মিল রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে আলোচনার সময় সৈন্যদের কণ্ঠে আবেগ ছিল না, যা বুঝিয়ে দেয় হত্যা তাঁদের জন্য স্বাভাবিক আচরণ।
ফোনের মালিক বলেছেন, “আমি আগেও মানুষ মেরেছি। আমার রক্ত ভাল্লাগে না। এতে গা গুলায়, যদিও ওদেরকে মারতে হয়েছে। ওদের প্রত্যেকে কেটে তিন টুকরা করতে হয়েছে।”
যে সৈনিক দুই ডজনেরও বেশি মানুষ হত্যার দাবি করছেন, তিনি বলেন, “আমি যাদেরকে ধরেছি, ওদেরকে মেরে ফেলেছি। আমাকে বলা হয়েছে, কেটে তিন টুকরা করে মাটিতে পুতে ফেলো।”
ফোনের মালিক বলেন, “এক লোকের মাথা পেছন দিকে ফেটে গিয়েছিল। তার সারা শরীর পুড়ে গিয়েছিল এবং চামড়া খসে গিয়েছিল। ইয়াক, এটা ভয়ানক ছিল।”
“আরে ভাই, আমাকে একজনের মাথা কেটে ফেলতে হয়েছে। এটা পাঁচ-ছয়বারের চেষ্টায় করেছি। ...শুয়োরের মাংসের মতো কাটা মাংসের টুকরা বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু মানুষের মাংস হলদেটে।”
“মানুষ মারায় আমি এক্সপার্ট,” বড়াই করেন ওই সৈনিক।
তবে মানুষ মারায় গর্ব প্রকাশের সাথে কিছু অভিযোগও পাওয়া যায় সৈনিকদের আলোচনায়, যেখানে তাঁরা নিজেদেরকে ভাসমান কাঠের টুকরার সাথে তুলনা করছেন; তাঁরা আদেশ মানতে বাধ্য। সাথে তাঁদের এই আক্ষেপও আছে যে, তাঁদেরকেও যে কোনো সময় হত্যা করা হতে পারে।
“তখন আমি কেন আপত্তি করিনি জানো [যখন লাশ কাটতে বলা হয়েছিল]? [ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা] অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তাই আমি কিছু বলিনি। নইলে মাথা কাটার দরকার হতো না,” এক পর্যায়ে বলেন ফোনের মালিক।
“কী এক জীবন? এ এক লড়াই। তুমি জিত না হয় মরো। কিন্তু আমাদের বাঁচা-মরায় কিছু যায় আসে না... [এই ভিডিওটা] শুধু রেকর্ড রাখার জন্য। আমরা ভাই ভাই। যদি আমি খুন হই, তুমি আমাকে আর দেখবে না, কিন্তু এটা দেখলে আমার কথা মনে পড়বে।”
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে গত বছর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩৩তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন এবং ৭৭তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের (এলআইডি) বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়। মান্দাল এবং ইয়াঙ্গুনে তাদের মোতায়েন করার পরে “হত্যাকাণ্ডসহ অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের” অভিযোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রাখাইন রাজ্যে এক বছর আগে কথিত “সন্ত্রাসী” নির্মূল অভিযানের সময় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে “গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে” জড়িত থাকার জন্য ২০১৮ সালেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে ছিল এই ৩৩ এলআইডি। সেই অভিযানের সময় ৩৩ এলআইডি এবং ৯৯ এলআইডির সৈন্যদের দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার ফলে, সাত লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
পরবর্তীতে ওয়াশিংটন একে “গণহত্যা” বলে স্বীকৃতি দেয়, যা ২০১৮ সালের জুন মাসে রয়টার্সের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছিল।
ওয়েব পেজ তৈরি: মিন-হা লি
-------------
অনুবাদ: খিন মং নিয়ানে, পুলক ঘটক
-------------
ভিডিও: ক্রিস বিলিং, হেই মার সো
-------------
সম্পাদনা: পল একার্ট, কিয়াও কিয়াও অং, কিয়াও মিন তুন, এইচ লিও কিম, পল নেলসন, জোশুয়া লিপেস, ম্যাট পেনিংটন, মাহবুব লীলেন
-------------
প্রতিবেদন তৈরি: রেডিও ফ্রি এশিয়া
-------------
© 2022 RFA
-------------
ফেসবুক - ইউটিউব - টুইটার