পাঁচ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে হস্তান্তর করল ভারত

ঝুমুর দেব
2019.01.03
গৌহাটি, ভারত
190103-IN-BU-Rohingya-1000.JPG ভারতের মণিপুর সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আগে দুই দেশের নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে পাঁচ সদস্যের রোহিঙ্গা পরিবার। ৩ জানুয়ারি ২০১৯।
[রয়টার্স]

ভারত পাঁচ সদস্যের এক রোহিঙ্গা পরিবারকে বৃহস্পতিবার তাদের মণিপুর রাজ্যের মোরে সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই পরিবারটি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করার দায়ে ২০১৪ সাল থেকে ভারতে জেল খাটছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

রোহিঙ্গা পরিবারটিতে রয়েছেন তিনজন পুরুষ ও দুই নারী। এরা হলেন মো. আয়াস, রিয়াস আলী, আহমেদ হোসেন, তৈয়বা খাতুন ও আজিজা বেগম।

এ প্রসঙ্গে মণিপুর রাজ্যের টেঙ্গনোপাল জেলার পুলিশ সুপার ইবমচা সিং টেলিফোনে বেনারকে বলেন, “আজ বিকেল চারটার দিকে ওই পাঁচজনকে মিয়ানমারের অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

পাঁচ সদস্যের এই রোহিঙ্গা পরিবারটি ২০১৪ সাল থেকে আসাম রাজ্যের কারাগরে ছিল। কারাবাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁদেরকে মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর জন্য বুধবার মণিপুর নিয়ে আসা হয়।

তবে এই রোহিঙ্গা পরিবারটি স্বেচ্ছায় মিয়ানমার ফিরে গিয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কর্মকর্তারা।

নারী ও শিশুসহ ১০ জন রোহিঙ্গাকে ২০১৪ সালে আসাম রাজ্যের সনতিপুর জেলায় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে এই পরিবারটিও ছিল।

ভারত গত অক্টোবরে আরো সাতজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে। ওই সাতজন ২০১২ সালে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁদেরকেও একই সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

২০১৭ সালের আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নিপীড়নমূলক অভিযানের ফলে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

বিভিন্ন সময় ভারতে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় চল্লিশ হাজার। হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার এইসব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত পাঠানো হবে বলে ২০১৭ সালের আগস্টে ঘোষণা দিয়েছিল।

যদিও এখন পর্যন্ত ভারত থেকে বড়ো আকারের কোনো রোহিঙ্গা বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেনি।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।