বাজারে ইলিশের বিপুল সরবরাহ, দাম হাতের নাগালে

ঢাকা থেকে শাহরিয়ার শরীফ
2016.10.03

বাংলাদেশে এবার ইলিশের উৎপাদন অনেকটাই বেড়েছে। রাজধানীসহ দেশের হাট–বাজার ইলিশে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে, দামও অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ কম। আবার ইলিশ মাছের আকৃতিও বেশ বড়।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রজননের সময় মা ইলিশ মাছ ধরা বন্ধে সরকারের উদ্যোগ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া জাটকা (ইলিশের ছোট সাইজ) ধরা বন্ধে কড়াকড়ি আরোপ করায় তা মাছের আকৃতি বড় হতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলেরা কষ্ট করে হলেও সরকারের নিষেধাজ্ঞার সময়ে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ রেখেছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অনুকূল আবহাওয়া। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির এটা বড় কারণ। তবে তাঁরা বলেন, নদী খননের পাশাপাশি ইলিশের বিচরণ এলাকা বা নদীগুলোতে দূষণ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন এবার ৪ লাখ টন ছাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাই মিলে চেষ্টা করলে এই উৎপাদন সোয়া পাঁচ লাখ টনে নেওয়া সম্ভব। বর্তমানে আধা বিজ্ঞান ও আধা ধারণার ভিত্তিতে সরকার মা ইলিশ ধরা বন্ধের সময়কাল নির্ধারণ করছে। এটা বিজ্ঞান ও তথ্যভিত্তিক হওয়া উচিত বলে তাঁরা মত দেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ গত ২ অক্টোবর রাজধানীতে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বলেন, এ বছর কেন ইলিশ অনেক বেশি ধরা পড়ল, তা নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা দরকার।এটি ঠিকমতো বুঝতে পারলে ইলিশ রক্ষার পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেওয়া সহজ হবে।

মাছ বাংলাদেশের জাতীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, প্রায় তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা মাছের ওপর নির্ভরশীল। ফলে মাছের উৎপাদন বাড়লে তা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, স্বাদ ছাড়াও ইলিশের পুষ্টিমান গুরুত্বপূর্ণ। এতে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান আছে, যা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।