বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলায় আতঙ্কিত সংখ্যালঘুরা
2016.11.17
গত ৩০ অক্টোবর একদল দুর্বৃত্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। ২৮ অক্টোবর নাসিরনগরে জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাসের ফেইস বুক পাতায় একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনার সূত্রপাত হয়। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে, পরে জানা যায় অন্য কেউ তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি ইসলামি সংগঠন বিক্ষোভ–সমাবেশ কর্মসূচি দেয়। ওই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর লাঠিসোঁটা হাতে কয়েকশ মানুষ মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িতে হামলা করে।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পাঁচ দিন পর ৪ নভেম্বর ওই এলাকায় কয়েকটি বাড়ি ও মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় দেশজুড়ে যখন সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় চলছে তখন ১২ নভেম্বর ফের আগুন দেওয়া হয় আরেকটি হিন্দু বাড়িতে। নাসিরনগর ছাড়াও গাইবান্ধা, মুন্সিগঞ্জ, ফেনী, নেত্রকোনাসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা হয়।
এর প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশজুড়ে ক্ষোভ–বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এসব কর্মসূচি থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করা হয়। নাসিরনগরসহ বিভিন্ন এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা ও মানবাধিকার কর্মীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে পরপর কয়েক দফা হামলা হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।