আইসিস ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতিক সম্পদ ধ্বংশ করছে
2015.03.21
বারডো ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ২১ জনকে হত্যার ঘটনাটি ছিল হাজার বছরের প্রাচীন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যকলা সম্পদ ধ্বংশের ধারাবাহিক আক্রমনের শেষতম নজির।
গত বুধবার আইসিস তিউনিসিয়ার রাজধানীর আক্রমনের দায় স্বীকার করে।
ইউনেস্কোর ডাইরেক্টর জেনারেল ইরিনা বোকোভা ২ বন্দুকধারীর তান্ডব চালানোর ২ ঘন্টা পর প্যারিসে সাংবাদিকদের জানান, “বারডো মিউজিউয়াম এমন একটি জায়গা যা সকলের জন্য উন্মুক্ত। যা বিভিন্ন সংস্কৃতিকে আবিস্কার করা ও তাদের মধ্যে সংলাপের একটি জায়গা।এই কাপু্রুষোচিত কাজ এই নীতিকে অগ্রাহ্য করেছে, যা আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে এই উগ্রবাদিতাকে রুখে দাঁড়াতে হবে”।
“সংস্কৃতি ও সংলাপের বিনিমিয়ে অর্জিত সকল গনতান্ত্রিক শক্তির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে”।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,মার্চের প্রথম দিকে আইসিস প্রাচীন শহর হাতরা ও নিমরুদে বুলডোজার চালায়, শহর ২টি এখন আধুনিক যুগের ইরাকে এই গোষ্ঠীর অধীনে যুদ্ধ ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে আছে।
গত মাসে আইসিস অনলাইনে প্রকাশিত তাদের ভিডিওতে দেখায় ইরাকে মসুলের একটি মিউজিয়ামে আসিরিয়ান সভ্যতার ভাস্কর্যগুলো ধ্বংশ করছে।