জোরালো হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি সংস্কারের দাবি

অয়ন আমান
2024.04.19
ঢাকা
জোরালো হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে  ছাত্ররাজনীতি সংস্কারের দাবি রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রবেশে সহায়তাকারী শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবিতে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ২৯ মার্চ ২০২৪
[মেহেদী রানা/বেনারনিউজ]

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আগ্রাসী ভূমিকায় সংঘর্ষ ও অপরাধমূলক নানা কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্ররাজনীতি সংস্কারের দাবি জোরালো হচ্ছে।  শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদগুলো সচল করা ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি কার্যকরভাবে বন্ধ করার দাবি উঠেছে।

ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, টেন্ডার বাণিজ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, ভিন্ন মতের ছাত্রসংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে বাধা ও ক্যাম্পাসে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। 

এর আগে বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রায় একইরকম অন্যায় ও অপরাধে যুক্ত ছিল বিএনপির সহযোগী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং জামায়তে ইসলামীর সহযোগি ইসলামী ছাত্রশিবির।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাত্র সংসদ না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন মূলত নেতৃত্ব দিচ্ছে ও ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে সরকারি ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। 

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছাত্রলীগের ১৮০টি সংঘর্ষে এক হাজার ৬৯২ জন আহত ও ২১ জন নিহত হয়েছে।

086429b5-c952-456b-a828-4742657846b4.jpg
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এই হামলার জন্য সরকারি ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে দায়ী করে ছাত্রদল। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ [বেনারনিউজ]

বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি না, ছাত্রদের মাস্তান হিসেবে ব্যবহারের রাজনীতি হচ্ছে—বেনারের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেন, “অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নামে যে তাণ্ডব, অপকর্ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতো, ওগুলো নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ বা আরপিওতে বিধান যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই মানছে না।”

আওয়ামী লীগের গত তিন মেয়াদে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। যদিও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অঙ্গ ও সহযোগী হিসেবে ছাত্র সংগঠন থাকতে পারে না।

কাগজে অস্বীকার করলেও ছাত্রসংগঠনকে নিজেদের লেজুড় সংগঠন হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলো।  ছাত্র সংগঠনগুলোর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে আড়াল করতে মূল দলের নেতাদের রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে মদদ দিতে দেখা যায়।

এসব ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে যতটা না তৎপর, তার চেয়ে বেশি থাকে মূল দলের কর্মসূচিতে। কখনো কখনো দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়।

সুজন সম্পাদক বলেন, “আরপিও অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ সংগঠন থাকার কোনো বিধান থাকতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলো গঠনতন্ত্র থেকে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন বাদ দিয়ে বলছে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন; যা একই জিনিস। নিবন্ধনের শর্ত অমান্য করায় নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে নোটিশ দিতে পারে।”

 

নির্যাতনের চিত্র

আসকের হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছয়টি সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ।  এতে মোট ৪৯ জন আহত ও একজন নিহত হয়েছেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্যাতন-সহিংসতায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করছে মানবাধিকারধর্মী সংগঠন স্টুডেন্ট এগেইনস্ট টর্চার (স্যাট)। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে স্যাট।

তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৭ শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।  তাঁদের অধিকাংশই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার কারণে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আখতার হোসেন বেনারকে বলেন, “ছাত্ররাজনীতি মানেই এখন গেস্ট রুম নির্যাতন, জোরপূর্বক রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া, গণরুমে জোর করে রাখা, রাজনৈতিক সেবাদাস হিসেবে ব্যবহার করা, টেন্ডারবাজি, মারধর, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি। এর কারণ হলো—ছাত্র সংগঠনগুলোকে পুরো মাত্রায় লেজুড়বৃত্তির সংগঠনে পরিণত করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সরকার সমর্থিত ছাত্রলীগের যে একক আধিপত্য, এতটা খারাপ অবস্থা এর আগে কখনো হয়নি।  যদিও অন্যান্য সরকারের সময় আধিপত্য বিস্তারের চিত্র একই রকম ছিল।  তবে, অন্যান্য ছাত্রসংগঠন কিছুটা হলেও তাদের কর্মসূচি পালনের সুযোগ পেত।”

আখতার বলেন, “গত ১৫ বছরের বেশি সময় আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাস থেকে এক প্রকার বিতাড়িত হয়েছে। ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে শিক্ষার্থীরা একেবারেই কোনো কথা-বার্তা বলতে পারতো না।  শিক্ষার্থীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলারও সুযোগ ছিল না।”

ছাত্রসংগঠনগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ হিসেবে কাজ করতে পারবে না—এমন বিধান বাস্তবায়ন করা দরকার বলে মনে করেন আখতার।

তিনি বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের পরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছিল।  এর পরে নির্বাচন না হওয়ায় আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে।”

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির সংস্কার প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি।

 

অকার্যকর ছাত্র সংসদ

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি, স্বাধীনতা যুদ্ধ ও নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের সক্রিয় ভূমিকা থাকলেও পরবর্তীকালে ছাত্ররাজনীতির পরিসর সংকীর্ণ হতে শুরু করে।  ছাত্রসংগঠনগুলোও তাদের চরিত্র হারায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বেনারকে বলেন, “ষাট ও সত্তরের দশকে ছাত্রসংগঠনগুলোর সরাসরি কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে আইন করেছিলেন যে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একটি ছাত্রসংগঠন থাকবে।”

তিনি বলেন, “তবে নব্বইয়ের দশকে এরশাদের শাসনকাল অবসানের আগ পর্যন্ত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো।  নির্বাচনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদগুলো গঠিত হতো। এরপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে ছাত্র সংসদগুলো অকার্যকর রয়েছে।  বর্তমান সরকারের সময়ে যে কটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন করা হয়েছে, তার কোনোটিতেই ছাত্র সংসদ গঠনের বিধান রাখা হয়নি।”

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২৮ বছর পর ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  ২০২০ সালের ২৮ মার্চ ডাকসুর মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে আর নির্বাচন হয়নি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯২ সালে সর্বশেষ ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই সংঘর্ষের জেরে জাকসু ও হল সংসদ বাতিল করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ৩২ বছরে নতুন করে ছাত্র সংসদ গঠনের উদ্যোগ নেয়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

১৯৫৪ সালে জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের (জকসু) প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের আগে জকসুর ১৪টি নির্বাচন হয়েছে। ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদের বিধান যুক্ত করা হয়নি।

ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ

গত ১৭ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী এম সজীব নিহত হন।  ওই ঘটনার চার দিন আগে প্রতিপক্ষের গুলিতে জখম হয়ে তিনি একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চায়ের দোকানে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। তাতে উভয়পক্ষের অন্তত নয়জন আহত হন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।  আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সৃষ্ট ওই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

তিনি বেনারকে বলেন, “ছাত্রলীগ সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে।  ছাত্রদের সমস্যা-সুযোগ এগুলো নিয়ে কাজ করা আমাদের দায়িত্ব।  আমরা সেই কাজগুলোই ভালোভাবে পালন করার চেষ্টা করি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে থাকি।”

বুয়েট প্রসঙ্গ

আবাসিক হলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর নির্যাতনে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে চার বছর ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল।  গত ২৭ মার্চ ছাত্রলীগ বুয়েটে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি শুরুর চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। ছাত্রলীগের দাবির পক্ষে এগিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বুয়েট প্রশাসনের জারি করা আদেশের বিরুদ্ধে রিট করেন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় সাড়ে চার বছর পর গত ১ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।  ফলে সাধারণ ছাত্ররা না চাইলেও বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি শুরু হয়ে গেছে।

“যে ছাত্ররাজনীতি র‌্যাগিং কালচারকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ খুলে দেয়, যার বলি হতে হয় নিরীহ ছাত্রদের, তা আমাদের জন্য ভালো কিছু কখনোই বয়ে আনেনি, আনবেও না,” ৩ এপ্রিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।

বুয়েট অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আইনুন নিশাত বেনারকে বলেন, “আগেকার দিনে ছাত্রনেতারা মানুষের সেবা করতো।  আর এখনকার নেতারা কাজের বিনিময়ে খাদ্য—এমন প্রকল্পের টাকা নিজেদের পকেটে ভরে; এটাকে আমরা বলছি অপরাজনীতি।”

তিনি বলেন, “এখনকার ছাত্র রাজনীতি হয়ে গেছে, হলে থাকব, ডাইনিংয়ে খাব, ক্যান্টিনে খাব-কিন্তু টাকা দেবো না। ঠিকাদার কাজ করছে, তার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করব। দোকানে গিয়ে শপিং করে টাকা না দিয়ে চলে আসব। এটা তো ছাত্র রাজনীতি না। সুষ্ঠু রাজনীতি অবশ্যই কাম্য, যেটি নষ্ট করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।”

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।