ঈদ উল আযহা উদযাপন
2016.09.13
দক্ষিন ও দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ধর্মীয় রীতি অনুসারে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ধর্মীয় তাৎপর্য মোতাবেক পশু কোরবানির মাধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল আযহা ২০১৬। যদিও এই অঞ্চলের কোথাও গতকাল সোমবার আবার কোথাও আজ মঙ্গলবার এই উৎসব পালিত হচ্ছে।
কোরবানি শব্দের অর্থ ‘ত্যাগ’। মুসলিমরীতি অনুসারে প্রতি বছর জিলহাজ মাসের ১০-১২ তারিখে হজ অনুষ্ঠিত হবার পর সামর্থ্যবান মুসলমানেরা পশু কোরবানির মাধ্যমে মহান আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
তবে শুধু পশু জবাই করাই কোরবানির মূল লক্ষ্য নয়; কোরবানির মূল শিক্ষা হল আত্মশুদ্ধি করা। অর্থাৎ বনের পশুকে কোরবানি করে মানুষের মনে লুকিয়ে থাকা হিংসা, ক্রোধ, পাশবিকতা ও পাপ চিন্তাকে নিধন করা।
ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, আল্লাহ্তায়ালা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-কে তাঁর প্রতি আনুগত্যের পরীক্ষা হিসেবে আল্লহার নামে তাঁর প্রিয়বস্তু উৎসর্গ করার হুকুম করেন। ওই হুকুম পালনে ব্রত হয়ে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তাঁর প্রানপ্রিয় পুত্র ইসমাইল (আঃ)-কে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির লক্ষ্যে কোরবানি করতে উদ্যত হন। তবে কোরবানি শেষে তিনি দেখতে পান পুত্রের পরিবর্তে তিনি একটি পশু জবাই করেছেন। আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের এই চরম ত্যাগের ঘটনার স্মরণে যুগ যুগ ধরে উম্মতে মোহাম্মদিয়ার উপর পশু কোরবানি অপরিহার্য করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা এক বানীতে বলেন, “হযরত ইব্রাহীম (আঃ) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে”।
তিনি বলেন, “এই উৎসবের মধ্যদিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা জবাইকৃত পশুর গোশত আত্মীয় ,প্রতিবেশী ও গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠা করেন”।
হিন্দু অধ্যুষিত রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রি নরেন্দ্র মোদিও ঈদ উল আযহা উপলক্ষে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তাঁর শুভেচ্ছা বানী দেন।
মোদি বলেন, “আলহামদুল্লিয়াহ, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই যে আমারা এ বছর আবার এই পবিত্র উৎসব ঈদ উল আযহা উদযাপনের সুযোগ দিতে পেরেছি। আমি উদার চিত্তের মানুষদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা স্বেচ্ছায় এই অনুষ্ঠানে তাঁদের অংশ দান করতে চান”।