গণহত্যার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পেছনে তৃণমূলের রোহিঙ্গা নারীরা

অতিথি প্রতিবেদন: ঈশিতা কুমার
2025.03.07
কক্সবাজার
গণহত্যার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পেছনে তৃণমূলের রোহিঙ্গা নারীরা মিয়ানমার থেকে নৌকায় বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছেছেন এক ক্লান্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী নারী। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
রয়টার্স

যেসব অসাধারণ নারী বিশ্বজুড়ে নিজেদের অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ক্ষমতায়িত করতে নিজেদের সমাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন ও জোরদার করতেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বৈশ্বিক উদযাপন।

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আর্জেন্টিনার আদালত গত মাসে মিয়ানমারের ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সংবাদটি পাওয়া মাত্র একদল নারীর কথা আমাদের মাথায় আসে, যারা এই গুরুত্বপূর্ণ আইনগত পদক্ষেপ সম্ভব করতে সহায়তা করেছিলেন।

বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী ৪০০’র বেশি রোহিঙ্গা নারীর একটি সংগঠন ‘শান্তি মহিলা’ তাদের রক্ষণশীল সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে ভুক্তভোগী হিসেবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অপকর্মের স্বীকৃতি ও বিচারের দাবিতে লড়াই করছেন। তাঁরা নিজেদের সম্প্রদায়ের নেতা, প্রশিক্ষক এবং ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

ঐতিহাসিকভাবে নির্যাতিত রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২০১৭ সালের "নির্মূল অভিযান” ছিল ব্যাপক ও পদ্ধতিগত আক্রমণ। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, নির্যাতন এবং তাঁদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে ফেলায় জনগোষ্ঠীটির সর্ববৃহৎ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ঘটে, এবং আশ্রয়ের আশায় তাঁরা প্রতিবেশী বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

এই ‘নির্মূল অভিযানের’ একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল যৌন সহিংসতা। নিষ্ঠুর ও অমানবিক যৌন সহিংসতার মাত্রাহীন প্রভাব পড়ে তরুণী নারী ও মেয়েদের ওপর। দীর্ঘমেয়াদী গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির মাধ্যমে তাদের বিনাশ করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা নারীরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

rohingya 2.jpeg
২০২৪ সালে আর্টলিউশন ইনকর্পোরেশনের সহযোগিতায় কক্সবাজারে লিগ্যাল অ্যাকশন ওয়ার্ল্ডওয়াইড (এল.এ.ডব্লিউ.) আয়োজিত চিত্রশিল্প কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন ‘শান্তি মহিলা’র সদস্যরা। (আয়েশা নওশিন/এল.এ.ডব্লিউ.)

‘শান্তি মহিলা’র সদস্যরা ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে রোহিঙ্গা নারীদের ওপর ব্যাপক যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিষয়ে জন-সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সংগঠিত হয়েছেন।

তাঁরা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন; নির্যাতনের শিকার হওয়ার সাথে মিশে থাকা কলঙ্ক ভেঙে পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি নিজ কর্মের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের রোহিঙ্গা নারীদের অনুপ্রাণিত করেছেন।

তাঁদের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টার কার্যালয় ২০২৩ সালে তাদেরকে ‘রাফায়েল লেমকিন চ্যাম্পিয়নস অফ প্রিভেনশন’ হিসেবে সম্মানিত করে।

বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ উপস্থাপনে অবদান

গত কয়েক বছরে শান্তি মহিলা সদস্যরা যে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং অন্যান্য বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদেরও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছেন, তা তদন্ত কার্যক্রমে এবং সবগুলো আন্তর্জাতিক বিচার কার্যক্রমের সামনে প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য এনজিও এবং আইনজীবীদের সুযোগ করে দিয়েছে।

শান্তি মহিলার সদস্যরা সেই বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে অন্যতম, যারা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস -আইসিজে) গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় প্রধান সাক্ষী হয়েছিলেন।

২০১৯ সালে দু’জন প্রতিনিধি গাম্বিয়া প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে আইসিজের প্রাথমিক শুনানি পর্যবেক্ষণ করতে হেগ শহরে উপস্থিত ছিলেন।

২০২৩ সালে সর্বজনীন বিচারব্যবস্থা নীতির অধীনে তদন্তমূলক শুনানিতে আর্জেন্টিনার ফেডারেল আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হয়েছিলেন সাতজন। বুয়েনস আইরেসে যাওয়া ঐ সাক্ষী দলে শান্তি মহিলার সদস্যরাও ছিলেন।

তারা সাক্ষ্য দেওয়ায় আদালত সম্প্রতি মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

“আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে একটি আন্তর্জাতিক আদালতে আমার কষ্টের কথা বলতে পারব। আদালতের ভেতরে ঢোকার আগ পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না,” বলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সালমা ছদ্মনামের এক রোহিঙ্গা নারী।

“আমার পরিবারের সদস্যদের নাম উল্লেখ করে তাদের মৃত্যুর বর্ণনা দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন ছিল। কিন্তু আমি ন্যায়বিচারের স্বার্থে, আমার নাতি-নাতনিদের জন্য এবং এমন একটি ভবিষ্যতের জন্য কথা বলেছি, যাতে আমরা মর্যাদার সাথে বাড়ি ফিরে যেতে পারি,” বলেন সালমা।

তিনি বলেন, “তারা [অপরাধীরা] নারীদের প্রথম টার্গেট করেছিল যাতে আমাদের সম্প্রদায় ও মনোবল ভেঙে যায়। কিন্তু কে ভেবেছিল যে আমরা রোহিঙ্গা নারীরা একদিন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকেই আদালতে তুলব?"

এখানে উল্লেখ করা দরকার, কেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহি সফলভাবে নিশ্চিত করার জন্য যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রমাণগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ।

গণহত্যার অপরাধ প্রমাণের জন্য ‘একটি গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য’ প্রমাণ করা অপরিহার্য। কিন্তু এটা প্রমাণ করা অত্যন্ত কঠিন।

২০১৭ সালের "নির্মূল অভিযানে” যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা’র মাত্রা এবং বর্বরতাকে জাতিসংঘের স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন রোহিঙ্গা জনগণকে ধ্বংসের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার মূল অভিপ্রায় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

rohingya 3.jpeg
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কক্সবাজারে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গা নারী শরণার্থীরা প্ল্যাকার্ড ধরে আছেন। ২৫ আগস্ট, ২০১৮। (রয়টার্স)

পরিবারের সামনে নারী ও তরুণী মায়েদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা, যৌন অঙ্গচ্ছেদ এবং জোরপূর্বক গর্ভধারণ করানো রোহিঙ্গা সম্প্রদায় ও তাঁদের প্রজনন ব্যবস্থায় গুরুতর ক্ষতি করার জন্য অপরাধীদের উদ্দেশ্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন।

যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা শুধু ২০১৭ সালে গণহত্যা, নির্যাতন এবং সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযানের অংশ ছিল না; বরং কয়েক দশকের প্রচারণার প্রেক্ষাপটেও সংঘটিত হয়েছিল।

প্রচারটা ছিল অনিয়ন্ত্রিত রোহিঙ্গা জন্মহার জাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি। রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় রোহিঙ্গা প্রজনন অধিকারের ওপর উল্লেখযোগ্য আইনি বাধা আরোপ করেছিল।

লিগ্যাল অ্যাকশন ওয়ার্ল্ডওয়াইড (এল.এ.ডব্লিউ.) ২০২৩ সালের এক গবেষণায় রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও হিজড়াদের উপর যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ব্যাখ্যা করেছে।

গবেষণায় মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা জানান, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার ফলে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের যৌনাঙ্গে স্থায়ী ক্ষতি হয়েছে, যা তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করেছে। গুরুতর মানসিক আঘাত ঘটেছে, যা তাদের চরম মানসিক কষ্টের অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, ধর্ষণের ফলে নারী ও শিশুদের গুরুতর সমাজ-বিচ্ছিন্নতার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে জোরপূর্বক ভাঙাগড়া করিয়েছে।

যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার প্রমাণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর সংঘটন এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের ওপর এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের গুরুতর মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি করেছে। তারা নির্মূলের উদ্দেশ্যে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন মানুষের জন্ম প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তীব্র যন্ত্রণা প্রদানের পাশাপাশি একটি গোষ্ঠীকে জৈবিক বা শারীরিকভাবে ধ্বংসের জন্য উদ্দেশ্যমূলক ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপের প্রতিফলন দেখা গেছে।

শান্তি মহিলা সংগঠনের নেতারা তাদের সাক্ষ্যে ২০২৩ সালের প্রতিবেদনের মতো গবেষণার ধারণা আদালতে প্রমাণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন - যা তাদেরকে সত্যিকার অর্থেই সম্প্রদায়ের তৃণমূল পর্যায়ের প্রবক্তায় পরিণত করেছে।

সামগ্রিক ন্যায়বিচার এবং নিরাময়ের পথে

এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি শান্তি মহিলা সদস্যরা কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছেন। তাঁরা চলমান ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করছেন এবং সহকর্মী হিসেবে পরস্পরকে ও বৃহত্তর সম্প্রদায়কে সহায়তা দিচ্ছেন।

লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় এবং ভয়াবহ অপরাধীদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নারীদের অবদানের স্বীকৃতি ও প্রচারের জন্য গত বছর তারা এল.এ.ডব্লিউ’র মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীদের সাথে সংলাপ কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছিলেন।

এসব কার্যকলাপ শান্তি মহিলা’র সদস্যদের শেখার জন্য প্রবল ইচ্ছার অভিব্যক্তি। তারা তাদের সম্প্রদায়ের জন্য সাহসী ও কার্যকর প্রবক্তা হিসেবেও কাজ করে চলেছেন।

rohingya 4.jpeg
২০২২ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত একটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের পর দিগন্তের দিকে তাকিয়ে শান্তি মহিলা’র সদস্যরা। (আয়েশা নওশিন/এল.এ.ডব্লিউ.)

২০২৩ সালের শেষের দিকে আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ফলে কক্সবাজারে বসবাসরত দশ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৫০,০০০ এরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা।

রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষের পরিবর্তনশীল গতিপ্রকৃতি এবং এর প্রভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর চাপ শিবিরগুলোতে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য সংগঠিত গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ আরও বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়ে গেছে।

এর মধ্যেও শান্তি মহিলাদের কাজ এবং প্রসার নারীর ক্ষমতায়ন এবং ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের অবদানের বাইরেও একটি স্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী শক্তি হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।

মানুষের পুনর্মিলনের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে এবং আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারকে তাদের সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে জনগণকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে তারা এই অঞ্চলের অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাবগুলি দূর করার পথ দেখাতে পারে।

এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা শান্তি মহিলার অভিনব কাজ ও তাদের শক্তি উদযাপন করতে পারি। রোহিঙ্গা নারীদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তাদের পুরো সম্প্রদায় এবং বিশ্বজুড়ে ভঙ্গুর ও সংঘর্ষ কবলিত জনগোষ্ঠীর নারীদের জন্য যে ঐতিহ্য তারা রচনা করছে তা উপভোগ করতে পারি।


ঈশিতা কুমার লিগ্যাল অ্যাকশন ওয়ার্ল্ডওয়াইড (এল.এ.ডব্লিউ.)’র রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক আইন ও কর্মসূচি-উপদেষ্টা। এল.এ.ডব্লিউ. মানবাধিকার আইনজীবী ও আইনবিদদের একটি স্বাধীন ও অলাভজনক সংস্থা। সংস্থাটি সংঘর্ষ কবলিত অঞ্চলগুলোতে কাজ করে। কক্সবাজারে ‘শান্তি মহিলা’ সংগঠনের নেতাদের সহযোগিতা দিয়ে আসছে এই সংস্থা। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় ৫০০ জনেরও বেশি ভুক্তভোগীর প্রতিনিধিত্ব করছে এল.এ.ডব্লিউ.। আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন বিষয়ে এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়মসমূহ বাস্তবায়ন কার্যক্রমে ঈশিতা অভিজ্ঞ। এখানে প্রকাশিত মতামত তাঁর ব্যক্তিগত, বেনারনিউজের নয়।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।