মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ

ঢাকা থেকে শাহরিয়ার শরীফ
2016.12.08
পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাজারো বাঙলির প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ।

পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাজারো বাঙলির প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ। ঢাকা। ১৪ এপ্রিল ২০১৬। Mohammad Ponir Hossain/NurPhoto/AFP

রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের গান।

রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের গান। ঢাকা। ১৪ এপ্রিল ২০১৬। Mohammad Ponir Hossain/NurPhoto/AFP

মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচের প্রতীক।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচের প্রতীক। ঢাকা। ১৪ এপ্রিল ২০১৬। ছবি: নিউজরুম ফটো। নিউজরুম ফটো।

বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার একাংশ।

বাংলা লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী প্রতীক নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার একাংশ। ঢাকা। ১৪ এপ্রিল ২০১৬। ছবি: নিউজরুম ফটো। নিউজরুম ফটো।

চারুকলায় মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে মঙ্গল শোভাযাত্রার মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী। ঢাকা। ১২ এপ্রিল ২০১৬। ছবি: নিউজরুম ফটো। নিউজরুম ফটো।

নববর্ষের পোশাকে তরুণ যুগল।

নববর্ষের পোশাকে তরুণ যুগল। ঢাকা। ১৪ এপ্রিল ২০১৬। Mehedi Hasan/NurPhoto/AFP

বিভিন্ন ধরনের মুখোশ নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার একাংশ।

বিভিন্ন ধরনের মুখোশ নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার একাংশ। ঢাকা। ১৪ এপ্রিল ২০১৬। ছবি: নিউজরুম ফটো। নিউজরুম ফটো।

চারুকলার দেয়ালে নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী আল্পনা।

চারুকলার দেয়ালে নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী আল্পনা। ঢাকা। ১৪ এপ্রিল ২০১৬। Mohammad Saiful Islam/NurPhoto/AFP

বাংলা নববর্ষের প্রথমদিন পয়লা বৈশাখের নান্দনিক ও আকর্ষণীয় উপাদান হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে এই শোভাযাত্রা। গত ৩০ নভেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় ইউনেস্কো।

এ প্রসঙ্গে ইউনেস্কো তাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করে “মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের মানুষের গর্বিত লোক ঐতিহ্যকে প্রতিকায়িত করে। এটি সব ধরনের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইতে তাদের শক্তি, সাহস এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে তাদের চিরন্তন অবস্থানের প্রতীক। পাশাপাশি, ধর্ম-বর্ণ-বয়স নির্বিশেষে দেশের সকল স্তরের নারী পুরুষের ঐক্য ও গণতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।”

নববর্ষের সূচনাদিনের সকালবেলা বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়বাহী নানা প্রতীকী উপকরণ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি এই শোভাযাত্রাকে বর্ণাঢ্য করে তোলে। মুখোশ পরে ভুভুজেলা বাজিয়ে অংশ নেন ওই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা।

এই শোভাযাত্রা প্রথম হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। তারপর থেকে রমনা বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠানের মতোই বাংলা নববর্ষের অনিবার্য এবং অচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই আয়োজন। সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন এতে। থাকে সমকালীন নানা প্রসঙ্গের প্রতীকী উপস্থাপনা ও গ্রামীণ লোকজীবনের আচার সংস্কৃতির অনুষঙ্গসমূহ। ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় এ​ই শোভাযাত্রার অবস্থান বাঙালির কাছে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেবে।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।