এখন খাদ্য ও কর্মহীনতায় দেশ ছাড়ছে রোহিঙ্গারা
2017.10.17
ঢাকা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের পাশাপাশি খাদ্যের অভাব, কর্মহীনতা, ঘরে বন্দী করে রাখাসহ মৌলিক চাহিদার অপূর্ণতার কারণে নানা কূটনৈতিক তৎপরতা ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার পরও বন্ধ হয়নি বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শ্রোত।
রাখাইনের বুথিডং থানার কোয়াইডং গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা মোঃ ইসলাম (৪৫) বেনারকে বলেন, “রাখাইনের সহিংসতার পর থেকে স্থানীয় গ্রাম্য বাজার বন্ধ রয়েছে। যারা গ্রামে রয়েছে তারা কোনো কাজ-কর্ম করতে পারছে না। বাড়িতে খাবার নেই,”
“জ্বালাও পোড়া বন্ধ করে রাখাইনের সেনারা এখন কৃত্রিমভাবে খাদ্য সংকট তৈরি করে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসতে বাধ্য করছে,” বেনারকে বলেন একই গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা আরেক রোহিঙ্গা আব্দুর রশিদ
গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর জোট আইএসসিজি)।
এদিকে স্যাটালাইটে পাওয়া নতুন তথ্য বিশ্লেষণ করে ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ২৮৮টি গ্রাম সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।